সাকিব আল হাসানের মাঠের ভিতরের সময়টা বরাবরই ভালো। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আট হাজার রান ও চারশ উইকেট নেয়া মাত্র ষষ্ট ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখিয়েছেন তিনি। সাকিবের মাঠের বাইরের সময়টাও বড্ড ভালো। ইতোমধ্যেই ২৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি।
ক্রিকেটারদের সম্পদের হিসেব করলে সবার আগে যাদের নাম আসে, তাদের বেশির ভাগই ভারতীয় ক্রিকেটার। একশ কোটি মানুষের দেশে ক্রিকেটকে দেখা হয় ধর্মের মতো। সেই দেশে ক্রিকেটাররা বিপুল সম্পদের মালিক হবেন সেটাই স্বাভাবিক।
ক্রিকেট জনপ্রিয়তায় ভারতকে টেক্কা দিতে পারা একমাত্র দেশ- বাংলাদেশ। এখানেও ক্রিকেটটা এখন সংস্কৃতির অংশ। বাংলাদেশ দলের একেকটা জয় এখানে তৈরি করে উৎসবে। বাংলাদেশেও ক্রিকেটাররা বড় তারকা। তাদের আয় রোজগারও অন্য যে কোনো ক্ষেত্রের চেয়ে অনেক অনেক বেশি।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আইপিএল, বিপিএল, বিগব্যাশ, সিপিএলের মতো ঘরোয়া আসরগুলো নিয়মিত খেলেন তিনি। এই সব লিগ খেলে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেন তিনি। শুধু মাত্র আইপিএল থেকেই কয়েক কোটি টাকা আয় হয় সাকিবের।
একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতীয় কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটারের পরে সাকিবই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী ক্রিকেটার। বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয়।
সাকিবের বেশির ভাগ অর্থই আয় হয় বিভিন্ন ব্রান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেব। তিনি পেপসি, বুস্ট, লাইফবয় এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানে দূত হিসেবে কাজ করেছেন। এই কাজ থেকে বিপুল অর্থ আয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া লিগগুলো খেলেও সাকিবের অ্যাকাউন্টে জমা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে। সব মিলিয়ে এতো অর্থের মালিক হওয়াও সাকিবের বড় একটি অর্জন।