ঢাকা: ভারতের চেন্নাইতে এক বাংলাদেশি কিশোরীকে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ ও তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ ঘটনার সাথে জড়িত আরো এক নারীকে খুঁজছে পুলিশ।
ওই নারী ভুক্তভোগী ১৫ বছরের কিশোরী রাবেয়ার (ছদ্মনাম) আত্মীয়। গণমাধ্যমটি জানায়, চেন্নাইয়ের তিরুবত্তিয়ার এলাকার আমান কলি রোডের একটি বাড়িতে রাবেয়াকে গত ১৭ জানুয়ারি থেকে আটকে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িটির দেয়াল টপকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে সে। স্থানীয়রা ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তারা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
রাবেয়া পুলিশকে জানিয়েছে, তাকে অপহরণ করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে অপহরণকারী চক্রের দালাল ২৮ বছরের কে টিপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টিপুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তিরুবত্তিয়ার নারী পুলিশ সংস্থা ‘অল ওমেন পুলিশ’।
ভারতীয় আইনের ৩৬৬ (এ) ধারা অনুসারে কিশোরী কন্যা ক্রয় মামলা, ৫০৬ (২) ধারা অনুসারে ভীতি প্রদর্শন মামলা এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের ৬ ধারা অনুসারে টিপুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘ওই দালাল কিশোরীটিকে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার একটি গ্রাম থেকে লোভনীয় চাকরির কথা বলে চেন্নাইতে নিয়ে আসে।’
রাবেয়া পুলিশকে জানায়, তার মা কয়েক বছর আগে মারা গেছে। তার বাবা ইউসুফ শেখের কাছে বড় হয়েছে সে। তার বাবা ছিল নেশাগ্রস্ত। সে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। মা-বাবার সহায়তা না পেয়ে সে চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার এক খালা ডার্লিনের কাছে চাকরির কথা বলে। ডার্লিনের বিয়ে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
ডার্লিন তাকে টিপুর কাছে হস্তান্তর করে। টিপু তাকে ভালো চাকরি দেয়ার কথা বলে। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি তারা চেন্নাই চলে যায়। এরপর থেকে সাধনকদুর একটি বাড়িতে আটক রেখে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।
রাবেয়া জানায়, টিপু তাকে ধর্ষণ করেছে এবং আরো তিন থেকে চারজনের কাছে একই কাজে পাঠিয়েছে। ১৭ জানুয়ারি তাকে সাধনকদু থেকে তিরুবত্তিয়ায় নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাবেয়া বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ