শারমিন সরকার
ব্যুারো চীফ
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
শ্রীপুর অফিস: শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের(এসআর অফিস) নকল নবিশ মোঃ ফারুক হোসেনকে অবেশেষে জেলা রেজিষ্টার বরখাস্ত করেছেন। এই নিয়ে তাকে ৪র্থবার বরখাস্ত করা হলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর এস আর অফিসে খবরটি ছড়িয়ে পরলে অফিসের দলিল লিখকসহ অন্যান্য ষ্টাফগন নিজ উদ্দ্যোগে মিষ্টি কিনে নিজেদের মধ্যে বিতরন করেন।
দলিল লিখকরা জানায়, শ্রীপুরের দক্ষিন ভাংনাহাটি গ্রামের দিন মজুর আব্দুল মালেকের পুত্র ফারুক হোসেন প্রায় ১০ বছর আগে শ্রীপুর এস আর অফিসে নকল নবিশের সনদ পায়। এর পর থেকে তিনি শ্রীপুর এস আর অফিসে কর্মরত সাব রেজিষ্টারদের সাথে বিভিন্ন কৌশলে সখ্যতা গড়ে তোলে ঘুষ, দূর্নীতিসহ দলিল লিখকদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছেন। তার অপকর্ম, ঘুষগ্রহন ও দূর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে শ্রীপুর এস আর অফিসের দলিল লিখক সমিতির সাধারন সম্পাদক শাজাহান মন্ডল উর্ধতন মহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে নকল নবিশ ফারুককে বরখাস্ত ও একইসাথে পত্র মারফত তাকে শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস আঙ্গীনায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন গাজীপুরের জেলা রেজিষ্ট্রার সৈয়দ মজিবুর রহমান।
এস আর অফিসের একটি সূত্র জানায়, আগেও ঘুষ গ্রহন ও দূর্নীতির কারণে ফারুক ৩ বার বরখাস্ত হলেও অদৃশ্য খুটির জোরে পূর্ব পদে বহাল তবিয়বে রয়ে গেছে। নকল নবিশ হয়েও সে দীর্ঘ বছর ধরে বালাম বই হতে কোন দলিলেল নকল লিখেনা বা এ সংক্রান্তে কোন ভাতা পায়নি। সে সাব রেজিষ্ট্রারের ঘুষের মিডিয়াম্যান হয়ে ৭/৮ বছরে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। দলিল লিখক মোস্তফা কামাল, জাকারিয়া, সুজন, রফিক জানায়,কোন জমির দলিল লিখে তা রেজেষ্ট্রি করে ফারুকের ঘুষের দাবী মিটিয়ে অফিসে কর্মরত দলিল লিখকরা প্রায়ই ফাঁকা পকেটে বাড়ী ফিরতে হয়।
সাব রেজিষ্ট্রার জামিনুল হক জানান, এ সংক্রান্তে তিনি জেলা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক জারি করা পত্র পেয়েছেন।