নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের পাঁচ খুনের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন ওই ঘটনায় নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালতে ওই জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দীর সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস আই আবুল খায়ের জানান, আদালতে মাহফুজ নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছেন। কীভাবে সে ৫ জনকে হত্যা করেছে তার বর্ণনা দিয়েছেন।
এর আগে ডিবিতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজ স্বীকার করেছিল, তার মামী লামিয়ার সঙ্গে মাহফুজের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তবে বিষয়টি পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। উল্টো তাসলিমা বিষয়টি তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে জানালে পারিবারিক শালিস হয়। এরপর থেকে বাসায় মাহফুজকে না আসার কথা বলে পরিবারের লোকজন। এসব নিয়েই মূলত মাহফুজ ক্ষুব্ধ হয়ে একাই এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটায়। ঘরে থাকা ধাতব বস্তু দিয়ে ৫ জনকে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে ১৯ জানুয়ারি গ্রেপ্তার ১২ লাখ টাকা ঋণদাতা ঢাকার কলাবাগান এলাকার নাজমা আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় একই পরিবারের পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যা করে মাহফুজ। নিহতরা হলেন- গৃহবধূ তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০) ও মেয়ে সুমাইয়া (৫), ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)। পরদিন রোববার সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।