ঢাকা: পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে বহিষ্কারের জবাবে বাংলাদেশ সরকার যদি দেশটির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তবে আগামী ২০ জানুয়ারি ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ড. ইমরান এইচ সরকার।
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশি কূটনীতিক মৌসুমীকে বহিষ্কারের পর বাংলাদেশের সরকারের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্তা নেয়া হয়নি- এমন অভিযোগ এনে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এরআগে গত শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছিল গণজাগরণ। ওই সমাবেশ থেকে পাকিস্তানকে জবাব দিতে সরকারকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিল। সেদিন ইমরান বলেছিলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার পাকিস্তানের কূটনীতিকদের ফেরত পাঠিয়ে উপযুক্ত জবাব না দিলে আবারও পাকিস্তান হাইমকমিশন ঘেরাও এবং পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের কর্মসূচি দেয়া হবে। এবারও যদি ২০১৩ সালের মতো আঘাত আসে, তাহলে সেই আঘাত উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের হাইকমিশন ঘেরাও করা হবে।’
আজকের সমাবেশে ইমরান পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদের মদতদাতা ও প্রশ্রয়দাতা আখ্যা দিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, উপমহাদেশে জঙ্গিবাদের হেডকোয়ার্টার ইসলামাবাদ। আর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আস্তানা পাকিস্তান দূতাবাস। বাংলাদেশে পাকিস্তানের যে হাইকমিশন রয়েছে সেটা দূতাবাস নয়, জঙ্গিবাস হয়ে গেছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য এবং মৌসুমী রহমানকে অকারণে বহিষ্কারের জন্য পাকিস্তান যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে সকল কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
সমাবেশে ইমরান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শান্তা বসু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল, ভাস্কর রাসা প্রমুখ।
সমাবেশে শেষে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়।