গাজীপুর: টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে যা শেষ হবে রোববার (১৭ জানুয়ারি)।
তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলীগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এতে অংশ নেন। তারা এখানে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াত কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন তুরাগ তীরে। হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ তাবলীগ জামাত আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমা।
এবারের ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৮ জানুয়ারি। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ১০ জানুয়ারি দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
বেলা ১১টা ০৮ মিনিটে শুরু হয়ে ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ মিনিট মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি ভারতের মাওলানা সাদ। এবারের ৫১তম বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে অংশ নেন ১৭ টি জেলার মুসল্লিরা।
দ্বিতীয় ধাপে ১৬টি জেলার মুসল্লি ২৯টি খিত্তায় অবস্থান নেবেন। ওইসব জেলা ও খিত্তাগুলো হলো- ঢাকা ১ থেকে ৭ নং খিত্তায়, ঝিনাইদহ ৮ নং খিত্তায়, জামালপুর ৯ ও ১১ নং খিত্তায়, ফরিদপুর ১০ নং খিত্তায়, নেত্রকোনা ১২ ও ১৩ নং খিত্তায়, নরসিংদী ১৪ ও ১৫ নং খিত্তায়, কুমিল্লা ১৬ ও ১৮ নং খিত্তায়, কুড়িগ্রাম ১৭ নং খিত্তায়, রাজশাহী ১৯ ও ২০ নং খিত্তায়, ফেনী ২১ নং খিত্তায়, ঠাকুরগাঁও ২২ নং খিত্তায়, সুনামগঞ্জ ২৩ নং খিত্তায়, বগুড়া ২৪ ও ২৫ নং খিত্তায়, খুলনা ২৬ ও ২৭ নং খিত্তায়, চুয়াডাঙ্গা ২৮ নং খিত্তায় এবং পিরোজপুর ২৯ নং খিত্তায়।
বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে জায়গা কম থাকায় এবং মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশী হওয়ায় দেশের ৩২ জেলার মুসল্লিদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে এবারের ৫১তম বিশ্ব ইজতেমা জানালেন আয়োজক কমিটির মুরুব্বি মো. গিয়াস উদ্দিন।