হবিগঞ্জ: জেলার মাধবপুরে খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সড়ক পরিবহন লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী (৩০), তার ভাই ওসমান মিয়া (৪০), উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনির মিয়া (২৫), পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বাবা দারু পাঠান (৫০), পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা ফকির জাবেদ (৩০), সাদ্দাম হোসেন (২৫), জামাল মিয়া (৪৫), সফিল উদ্দিন (৫৫), শাহীন মিয়া (১৭), শাহ আলম ভূঁইয়া (২৬), কবির মিয়া (৩৬), পথচারী জুয়েল মিয়া (৪০), যুবলীগের কর্মী আহাদ ফকির (২৭), উপজেলা যুবসংহতির সভাপতি ফকির কায়সার আহম্মেদ (৪২) প্রমুখ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা ফকির জাবেদ ও সাদ্দামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মাধবপুর বাজারের প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের খাস জায়গা দখল করতে যায়। অপর দিকে ওই জায়গা নিজেদের দখলীয় দাবি করে যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠানের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। উভয় গ্রুপ বর্তমান মেয়রের সমর্থিত হওয়ায় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহাকে নিষ্পত্তি করে দেয়ার দায়িত্ব দেন।
তবে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই আবারও বুধবার রাতে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মনির হোসেন জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।