ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর আবারো ভাঙচুর-সংঘর্ষ হয়েছে।আজ মঙ্গলবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে ।
মাদ্রাসা ছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ভাঙচুর করে লাইনের স্লিপার খুলে ফেলায় ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার জেলায় সকাল–সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করছে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার মোবাইলফোন কেনাকে কেন্দ্র করে শহরে ছাত্র ও ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে রাতে পুলিশ তালা ভেঙে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর হামলা করে।
এসময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হন। গুরুতর আহত হাফেজ মাসুদুর রহমানকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সকালে ছাত্ররা বিক্ষোভ করে হরতাল ঘোষণা করেছে। ভোর থেকেই ছাত্ররা শহরের টিএ রোড হাসপাতাল রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। শহরের দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষেভ করছে ছাত্ররা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে এলাকাটিতে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।
নিহত মাদ্রাসার ছাত্রের নাম হাফেজ মাসুদুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনিছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, গতকাল বিকেলে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার একছাত্র মোবাইলফোন কেনার জন্য জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমে যান। সেখানে দাম নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে দোকানদার ওই ছাত্রকে চড় মারেন। এ খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক ছাত্র দোকানটিতে ভাঙচুর করে।
নিহতের সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে মাদ্রাসার ছাত্ররা।