ঢাকা: দেশ-বিদেশের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফিরছেন মুসল্লিরা। তবে ফেরার পথে তাদের পড়তে হয়েছে যানবাহন দুর্ভোগে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে সরেজমিনে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে গিয়ে মুসল্লিদের দুর্ভোগের কথা জানা যায়।
একদিকে যান সঙ্কট, অন্যদিকে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়- এমন অভিযোগ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেন মো. আরমান হোসেনসহ প্রায় সাড়ে তিনশ মুসল্লি। তিনি জানালেন, গাড়ি রিজার্ভ করে এখানে আসতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। তবে ইজতেমা শেষ হওয়ার একদিন আগে লোক লাগিয়েও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আর পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন সবাই।
অবশেষে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গাড়ি পাওয়া গেছে বলে জানান এই মুসল্লি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ গাড়ি স্থানীয় দালালদের সহায়তায় মিলছে। এ কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিদের। এমন অভিযোগ স্বয়ং গাড়ি চালকদেরও।
তিসা পরিবহনের চালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, যে মুসল্লিরা দালালদের মাধ্যমে গাড়ি রিজার্ভ করছেন, তাদের পাঁচ থেকে দশ হাজার বা তারও বেশি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ইজতেমার ময়দানে গভীর রাতেও হাজারের উপর ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এ মুসল্লিরা কেউ ঘুমিয়ে রয়েছেন, কেউবা ব্যাগ গোছাচ্ছেন। অনেক মুসল্লি দলবেঁধে ময়দান ত্যাগ করছেন।
রাস্তায় যানজট থাকায় রিজার্ভ গাড়ি আসতে দেরি করছে, এ কারণে ব্যাগ গুছিয়ে অনেক মুসল্লিকে দেখা গেল আগুন পোহাতে।
বাড়ি ফেরা ও গাড়ির অপেক্ষায় থাকা মো. মামুনুর রশিদ বলেন, গতকাল (রোববার) থেকেই গাড়ি খুঁজছি, কিন্তু পাচ্ছি না। সকালে আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও ময়দান ছাড়তে পারছি না গাড়ির কারণে। আমরা একসঙ্গে ৪৫ জন চট্টগ্রাম থেকে এসেছি।
ইজতেমায় আসা মানে এক সংসারের মালামাল নিয়ে আসা। এ কারণে রিজার্ভ গাড়ির অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো গতি নেই, যোগ করেন তিনি।
এবারের ইজতেমায় দুই দফায় মোট ৩২টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নিবেন। ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রথম দফায় ঢাকা জেলাসহ ১৭টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় দফায় ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ঢাকা জেলাসহ ১৬টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন।