বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু আজ  

Slider জাতীয় সারাদেশ

12510424_1012459175473687_7141213798296312965_n

 

টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ থেকে তাবলীগ জামাতের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বাস-ট্রাক, ট্রেন ও লঞ্চযোগে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হচ্ছেন। পুরো মাঠের জেলাওয়ারী খিত্তায় তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা  বুধবার থেকে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। গতকাল সারাদিনই দলে দলে মুসল্লিদের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। সারা দেশ থেকে মানুষের স্রোত এখন টঙ্গী অভিমুখে। মানুষের এ স্রোত আখেরি মোনাজাতের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আগামী ১০ই জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের এ সমাবেশ। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ১৫ই জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ই জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। এ সমাবেশে আগত মুসল্লিদের জন্য টঙ্গীর তুরাগ তীরে ১৬০ একর খোলা জমিনের ওপর পাটের চট দিয়ে সুবিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। তাবলীগ জামাতের এ মিলন মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের শতাধিক দেশ থেকে ৩০-৩৫ হাজার বিদেশি মেহমানসহ প্রায় ৩০-৪০ লাখ মুসল্লির সমাবেশ ঘটবে বলে আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা আশা করছেন। গতকাল পর্যন্ত বিশ্বের  অর্ধ শত দেশের প্রায় ১০-১২ হাজার তাবলীগ অনুসারী ইজতেমাস্থলে এসে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আজ দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে এ ইজতেমা ময়দানে। ১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর এই তুরাগ নদীর তীরে নিয়মিত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাবলীগ অনুসারি বাড়তে থাকায় মুসল্লিদের চাপ কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইজতেমা মাঠে জায়গা না হওয়ায় এ বছর থেকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে ১৭ জেলা, দ্বিতীয় পর্বে ১৬ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা ২০১৭ সালের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা-গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আজ থেকে ১২ হাজার পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টা মুসল্লিদের নিরাপত্তাদানে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যাপ্ত সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন: বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে মন্নু টেক্সটাইল মিলের মাঠে হামদর্দ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। ্‌ হামদর্দ বোর্ড অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক ডা: এম. আর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়াকফ প্রশাসন ফয়েজ আহাম্মেদ  ভূঁইয়া, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতয়ালী ড. হাকিম মো. ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, জেলা প্রশাসক এস,এম আলম, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাড. আজমত উল্লা খান, সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান প্রমুখ।  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্মমন্ত্রী বলেন, হামদর্দ আর্তনিপীড়িত ও দুস্থ মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের জন্য হামদর্দ প্রতিবছর যে উদ্যোগ গ্রহণ করে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দ্বীন ইসলামের খেদমতে যারা জান মাল ও সময় ব্যয় করছেন তাদের খেদমতের মাধ্যমে হামদর্দের সদস্যবৃন্দ অশেষ পুণ্য লাভ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। হামদর্দের মতো মানব সেবায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়াও ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প এলাকায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, টঙ্গী প্রেস ক্লাব, টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ফাউন্ডেশন, ইবনেসিনাসহ প্রায় ৫৪টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করেছে।
স্বাস্থ্যসেবা: গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রয়েছে। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে আরও ৫০টি শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে একটি নিজস্ব কন্ট্রোল রুম ছাড়াও কার্ডিয়াক, বার্ন, অ্যাজমা, ট্রমাসহ বিভিন্ন ইউনিট খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে মুন্নগেট, বাটা গেট ও হোন্ডা রোডে মুসল্লিদের তাৎক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্য ৪টি মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়েছে। মুসল্লিদের সেবা প্রদানের জন্য টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারগুলোতে ১২টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইজতেমা এলাকায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে  প্রায় অর্ধশত ফ্রি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। হোটেলে খাবারের মান ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেটসহ  সেনিটেশন টিম কাজ করছে।
বিদেশি মেহমান: প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রায় শতাধিক দেশের বিদেশি মুসল্লি আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এব্যাপারে টঙ্গীর ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বীদের সঙ্গে কথা বললে তিনি আগত বিদেশি মুসল্লির সঠিক সংখ্যা জানাতে না পারলেও বিশ্বের অন্তত শতাধিক দেশের প্রায় ৩০-৩৫ হাজার বিদেশি মেহমান এবারের ইজতেমা ময়দানে অংশগ্রহণ করবেন জানান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রায় কয়েক হাজার বিদেশি মুসল্লি ঢাকার কাকরাইল, উত্তরা, টঙ্গী ও আশপাশের মসজিদে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫-৬ হাজার বিদেশি মুসল্লি ইজতেমা ময়দানের নির্ধারিত তাঁবুতে অবস্থান নিয়েছেন।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির বক্তব্য: বিশ্ব তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরা জানান, সারা বিশ্বে তাবলীগের দাওয়াত পৌঁছে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ইজতেমায় শরীক হওয়া মুসল্লিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের সময় টঙ্গী তুরাগ তীরের এ বিশাল ময়দানেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না। আগত মুসল্লিদের যাতায়াতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের অসুবিধা ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০১১ সাল থেকে দুই দফায় ইজতেমা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাবলীগ অনুসারি আরও বাড়তে থাকায় মুসল্লিদের চাপ কমাতে এ বছরই ৪ ভাগে ভাগ করে প্রথম পর্বে ১৭ জেলা, দ্বিতীয় পর্বে ১৬ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা ২০১৭ সালের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন যারা প্রথম পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিবেন তারা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে পারবেন না। প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা ময়দান ছেড়ে দেয়ার পর দ্বিতীয় পর্বে জেলা ওয়ারি (খেত্তা বিশেষ) মুসল্লিরা ময়দানে এসে অবস্থান নিবেন, বয়ান শুনবেন এবং দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিবেন। দ্বিতীয় পর্ব শেষে নিজ নিজ ঠিকানা ও গন্তব্যে ফিরে যাবেন। এর মাধ্যমে শেষ হবে এবারের ৫১তম বিশ্ব ইজতেমা।
ভাসমান সেতু নির্মাণ: ইজতেমা পন্টুন ব্রিজ (ভাসমান সেতু) স্থাপন কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা জানান, মুসল্লিদের নদী পারাপারের সুবিধার্থে ইজতেমা ময়দানের সঙ্গে টঙ্গী-আশুলিয়া সড়কের সংযোগ স্থাপনের জন্য তুরাগ নদীর উপর ৯টি  পন্টুন সেতু স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা এই সেতুগুলো স্থাপন করছে।
বিশেষ বাস ও ট্রেন সার্ভিস: মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইজতেমার শুরুর আগের দিন থেকে বিআরটিসি ২২৮টি স্পেশাল বাস সার্ভিস ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। বিআরটিসির একটি সূত্র জানায়, ৭ই জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলাচলকারী স্পেশাল বাসের মধ্যে ৩টি বাস বিদেশি মুসল্লিদের জন্য রিজার্ভ থাকবে। আব্দুলাহপুর-মতিঝিল ভায়া ইজতেমাস্থল ২৯টি বাস, শিববাড়ী-মতিঝিল ভায়া ইজতেমাস্থল ১৩টি, টঙ্গী-মতিঝিল ভায়া ইজতেমাস্থল ১৭টি, গাজীপুর-চৌরাস্তা, মতিঝিল-ভায়া ইজতেমাস্থল ৬টি, গাবতলী-গাজীপুর ভায়া ইজতেমাস্থল ৫টি, গাবতলী-মহাখালী ভায়া ইজতেমাস্থল ৩৫টি, গাজীপুর-মতিঝিল ভায়া ইজতেমাস্থল ২৫টি, মতিঝিল-বাইপাল ভায়া ইজতেমাস্থল আরও ২০টি বাস চলবে। এ ছাড়া ঢাকা-নরসিংদী ভায়া ইজতেমাস্থল ২০টি, চট্টগ্রাম রোড-সাভার রোড ২০টি, ঢাকা-কুমিল্লা রোডে চলবে আরও ১৫টি বাস। অপরদিকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতায়াতে সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২৮টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে। এ ছাড়া সকল আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে অতিরিক্ত ২০টি কোচ সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়। দুই ধাপের ইজতেমার প্রথম ধাপের শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা দুটি ‘জুমা স্পেশাল, আখেরি মোনাজাতের আগের দুদিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকে দুটি করে চারটি অতিরিক্ত ট্রেন পরিচালনা করা হবে। আখেরি মোনাজাতের আগের দিন লাকসাম-টঙ্গী একটি, আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা সাতটি, টঙ্গী-ঢাকা সাতটি, টঙ্গী-লাকসাম একটি, টঙ্গী-আখাউড়া দুটি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ চারটিসহ মোট ২১টি আখেরি মোনাজাত স্পেশাল ট্রেন চালু থাকবে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১০ থেকে ১৭ই জানুয়ারি ৭২৯-৭২২ মহানগর প্রভাতী-গোধুলী, ১১-১৮ই জানুয়ারি সোমবার ৭০৭-৭০৮ তিস্তা এক্সপ্রেস এবং ৮-১৫ জানুয়ারি শুক্রবার ৭০১-৭০২ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতেও চলাচল করবে। বিশেষ ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-টঙ্গী কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর কমিউটার, ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার আখেরি মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের সদস্যরা তুরাগ নদীর  ৯টি স্থানে (পন্টুন) ভাসমান সেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন: ইজতেমা মাঠে স্থাপিত ১২টি উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি লিটারেরও বেশি বিশুদ্ধ পানি  সরবরাহের সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অজু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পাকা দালানে প্রায় ৬ হাজারের মতো টয়লেট ইউনিট রয়েছে। এদের মধ্যে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত অজু গোসলখানা এবং টয়লেটগুলো ইতিমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ভিডিপিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য ৫টি  কন্টোল রুম এবং র‌্যাব ও পুলিশের জন্য ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, ২০টি ফগার মেশিন দিয়ে ইজতেমা ময়দানে মশক নিধন, ইজতেমা চলাকালীন সময়ে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে রাত দিন বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা, ইজতেমা চলাকালীন রাতদিন ২৪ ঘণ্টা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সেবা কার্যক্রম, ইজতেমা ময়দানে বিনামূল্যে ৫৪টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ: ডেসকো’ কর্তৃপক্ষ জানান, ইজতেমা এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে মূল ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। যে কোনো একটি গ্রিড নষ্ট হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হবে না। ইজতেমা এলাকায় ৪টি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর এবং ৫টি ট্রলি-মাউন্টেড ট্রান্সফরমারও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস: ফায়ার সার্ভিস জানান, ইজতেমাস্থলে তাদের একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সার্বক্ষণিক কর্মকর্তাসহ ফায়ারম্যানরা অবস্থান করবেন। ময়দানের প্রতি খিত্তায় ফায়ার ডিস্টিংগুইসারসহ ফায়ারম্যান, গুদাম ঘর ও বিদেশি মেহমান খানা এলাকায় ৩টি পানিবাহী গাড়ি, ৩ সদস্যের ডুবুরি ইউনিট, ১টি স্ট্যান্ডবাই লাইটিং ইউনিট এবং ৫টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। সূত্র আরও জানায়, ইজতেমা মাঠের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে ইজতেমা মাঠের আশপাশের এলাকায় পানি ছিটানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *