পুলিশেরও অনুমতি পাচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি

Slider রাজনীতি

031142Pic-17

 

 

 

 

 

ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় বছরপূর্তিকে ঘিরে গতবছরের মতো এবারও কর্মসূচি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। প্রথমে দুদলই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে। এরপর সেখানে অনুমতি না পেলে নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে করার কথা জানায় দুদল। অর্থাৎ বিএনপি বলেছিল, তারা নয়াপলন্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করবে এবং আওয়ামী লীগ বলেছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে।

৫ জানুয়ারি বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও আরো কয়েকটি সংগঠনের আবেদন পায় পুলিশ। সব মিলিয়ে ওইদিন সেখানে সমাবেশের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে অনুমতি দেয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল।

এরই মধ্যে আজ সকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুদলকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরপর বিকেলে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের যা বলেছেন তাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশের জন্য তারাও দুদলকেই অনুমতি দিতে যাচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, কিছু শর্তসাপেক্ষে নিজ নিজ কার্যালয়ের ভেতরে দুদলকেই সমাবেশ অনুমতি দেয়া হতে পারে।

আছাদুজ্জামান মিয়া যেসব শর্তের কথা বলছেন তার মধ্যে রয়েছে- কার্যালয়ের ভেতর সমাবেশ করতে হবে, ব্যানার-ফেস্টুনের নামে লাঠি বহন করা যাবে না, রাস্তা অবরোধ করা যাবে না, মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসা যাবে না এবং সমাবেশ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে হবে।

আছাদুজ্জামান আরো বলেন, রমনা জোনের ডিসি এবং শাহবাগ থানার ওসিকে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

দশম জাতীয় সংসদের বছরপূর্তিকে কেন্দ্র করে গতবছরও কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। ছিল আওয়ামী লীগেরও কর্মসূচি। তবে ৫ জানুয়ারির আগে থেকেই নিজের কার্যালয়ে কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করতে না দেয়ায় ৫ জানুয়ারি সারা দেশে অবরোধের ডাক দেন খালেদা জিয়া। ওই অবরোধ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়নি।

বিএনপি এবার বলছে, তারা যদি শেষ পর্যন্তও সমাবেশের অনুমতি না পায় তারপরও যে কর্মসূচি দেয়া হবে তা কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *