ঝিনাইদহে আপন দুই ভাতিজা ও এক ভাগ্নে কে পুড়িয়ে হত্যা করছে ইকবাল নামে এক পাষন্ড। ঘাতক ইকবাল নিহত শিশু আলামিন (৭) ও সাফিন হোসেন (১১) চাচা এবং ভাগ্নে মাহিম (১৪)এর মামা। টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ধ্যা সন্ধা ৭টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুরের সার ব্যাবসায়ী গোলাম নবীর বাড়িতে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ইকবাল কে আটক করেছে। তবে বাড়ির অপর সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। নিহত শিশু শিবলু ও আমিন দেলোয়ারের ছেলে। আহত মাহিম মনোহরপুর গ্রামের রাশেদের সন্তান। চিকিৎসারত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যায়।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা যায়, সার ব্যবসায়ী গোলাম নবীর ছেলে ঘাতক ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বিদেশ থেকে বাবার কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেম। বিগত পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে বাবার কাছে টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে বাবা ও ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনাটি সুরাহা না হওয়ায় ঘাতক ইকবাল প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে পরে। এরই জের ধরে গতকাল সন্ধায় ভাই দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে শিবলু ও আমিন এবং ভাগিনা মাহিমকে ল্যাপটপে ভিডিও গেম খেলার কথা বলে ঘরের ভেতর ডেকে নেন। ওদের হাত পা বেধে ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে রক্তাত্ব করে। পরে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের ধোয়া দেখে প্রতিবেশিরা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খরব দেয়। ঘটনাস্থলে পৌছে তারা দরজা ভেঙ্গে পুড়ে কয়লা হওয়া শিশু শিবলু ও আমিনের মৃত দেহ ও আহতাবস্থায় মাহিমকে উদ্ধার করে। শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই এমদাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দরজা ভেঙ্গে দুটি শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার ও অপর এক আহত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শিশু মাহিমও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তবে কি কারণে এ হত্যাকান্ড প্রাথমিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতককে আটক করা হয়েছে। তার হাতে রক্তের দাগ ছিল।