ব্রাহ্মণবাড়িয়া: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সৈয়দটুলা গ্রামে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৩৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয় দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সালিশ সভা চলাকালে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার সকালে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় সরাইল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্য আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে জমি থেকে ভ্যানগাড়ি দিয়ে ধান আনার সময় সৈয়দটুলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বাতেন মিয়ার পক্ষের ভ্যানচালক টিটু মিয়াকে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হকের সমর্থকরা মারধর করেন। এ নিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় হাফেজটুলা মাঠে সালিশ বৈঠক হয়। ওই সালিশে দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
সালিশ সভার ওই সংঘর্ষের জেরে রোববার সকালে ফের দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক সময় এ সংঘর্ষ চলে। এরই মধ্যে ৫/৬টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আরশাদ জানান, সংঘর্ষ থামাতে ১৩৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও এক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।