ঢাকার শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত হওয়ার আড়াই বছর পর ফের প্রকাশ্যে আসার উদ্যোগ নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ধর্মভিত্তিক দলটি। ২০১৩ সালের ৫ মের পর থেকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সভা-সমাবেশ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিল হেফাজত। অর্ধশত মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারাও।
আড়াই বছর ধরে কেবল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে আসছিল দলটি। দীর্ঘদিন পর আগামী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে দু’দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছে হেফাজত। এ সম্মেলনের জন্য প্রচার চালানোর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) সদর দপ্তরের সামনে বিশাল তোরণ নির্মাণ করলেও হেফাজতের মহাসম্মেলনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানে না সিএমপি! এমনকি সমাবেশের অনুমতি চেয়ে দলটি এখনও আবেদন করেনি বলেও জানিয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা।
হেফাজতের এ মহাসম্মেলনে বহুদিন পর দেশের বাইরে থেকেও অতিথি আসছে। এর মধ্যে ভারতের জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল আলিম ফারুকী ও ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানীও মহাসম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে হেফাজত সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন সমকালকে বলেন, নগরীর লালদীঘি মাঠে হেফাজতে ইসলামের দু’দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন করার কোনো আবেদন পুলিশ পায়নি। তাদের প্রচারের বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সিএমপি নয়, ঢাকায় পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। পুলিশের শীর্ষ মহল থেকে সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পরই এ মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। লালদীঘি মাঠে সম্মেলন করার অনুমতি চেয়ে সিএমপির বিশেষ শাখায় আবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। মুসলিম হাই স্কুল থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেছে।
সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম জিয়াউল হায়দার বলেন, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ইসলামী সম্মেলন করার জন্য হেফাজতে ইসলাম লালদীঘি মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চায়। তাদের আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে শুধু মাঠটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।