ঢাকা: আন্দোলন দিয়ে শুরু করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সাল শেষ করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে বছরজুড়ে তাকে আদালতে হাজিরা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এ সময়েই তিনি হারিয়েছেন তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে। সুযোগ পেয়েছেন বড় ছেলে তারেক রহমান ও কোকোর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের।
তবে বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্ক খালেদার পিছু ছাড়েনি। বছরের শুরুতে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তার ‘অবরুদ্ধ’ হওয়ার বিতর্ক, কার্যালয় থেকে বাসায় না ফেরার বিতর্ক, অমিত শাহ’র ফোন বিতর্ক, পরোয়ানা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার না করার বিতর্ক, চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়ে দেশে ফেরা না ফেরার বিতর্ক এবং সর্বশেষ বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা সংশয় প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতির দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে ওইদিন ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু আগের দিন পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি পায় না তারা। এমন পরিস্থিতিতে ৩ জানুয়ারি রাতে খালেদা জিয়া গুলশানের নিজের বাসা থেকে কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু গভীর রাতে গুলশান কার্যালয়ের বাইরে মোতায়েন করা হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
তারা কার্যালয় থেকে খালেদাকে আর বের হতে দেয়নি। তখন থেকেই মূলত কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনা বছরের শুরুতে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিল।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে আটকা পড়েন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রেহানা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অব.) আবদুল মজিদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, কার্যালয়ের স্টাফ ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ’র সদস্যরাসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক নেতা-কর্মী।
পরদিন কার্যালয়ের চারপাশসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরো সদস্য মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ের সামনে আড়াআড়িভাবে রাখা হয় ইট ও বালুভর্তি কয়েকটি ট্রাক। ওইদিন কয়েকবার চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশী বাধায় কার্যালয় থেকে বের না পেরে বিকেলে কার্যালয়ের ভেতরে থেকেই দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন বেগম জিয়া।
খালেদার কর্মসূচি ঘোষণার আগে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা মহিলা নেত্রীরা লাফিয়ে মেইন গেইটের ওপরে ওঠার চেষ্টা চালায় এবং গেইটে একের পর এক লাফি মারতে থাকেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেইটের বাইরে অবস্থানরত পুলিশ সদস্য ও ভেতরে অবস্থানরত নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরে পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করে। এতে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্টে ভুগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ ৮ জানুয়ারি টেলিফোন করেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সত্যতা নিশ্চিত হতে পরবর্তীতে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের দুটি টেলিভিশন চ্যানেল অমিত শাহকে টেলিফোন করেন। তখন অমিত শাহ অবরুদ্ধ খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার খবরটি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় বিএনপি রাজনৈতিকভাবে হেয় হয়ে যায়।
দীর্ঘ দুই সপ্তাহ অবরুদ্ধ রাখার পর ১৯ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এরপর ৩১ জানুয়ারি খালেদার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর খালেদার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এক পর্যায়ে পুলিশী বাধায় খাবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কার্যালয়ে এসব সংযোগ দেয়ার পাশাপাশি খাবার সরবরাহের বাধাও প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তিনি কার্যালয় থেকে বের হননি।
১১ ফেব্রুয়ারি অবরুদ্ধ খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তৎকালীন বৃটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন।
গুলশান কার্যালয়ে থাকাবস্থায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু ৪০ দিনেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছায়নি। এ রকম পরিস্থিতিতে ৫ এপ্রিল ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হয়।
এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রায় তিন মাস পর নিজের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন পান খালেদা। জামিন পেয়ে ওইদিনই গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে তিন মাস ধরে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানের সমাপ্তি হয়, একইসঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনেও কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়।
অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে, মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরাফাত রহমান কোকো। কোকোর মৃত্যুতে মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে ওইদিনই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কার্যালয়ের গেইট বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কার্যালয়ের সামনে থেকে ফিরে যান তিনি। এ ঘটনাটিকে ভালভাবে নেয়নি রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, এটি ছিল সঙ্কট সমাধানের একটি সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু সে সুযোগটি বিএনপি হেলায় হারিয়ে ফেললো।
কোকোর মরদেহ ২৭ জানুয়ারি মালয়েশিয়া থেকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোকোর মৃত্যু ও দাফনকে কেন্দ্র করেও অবরোধ কর্মসূচি শিথিল করা হয়নি।
আনুষ্ঠানিকভাবে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলেও টানা ৯২ দিন চলার পর তা শিথিল হয়ে যায়।
এরপর খালেদা জিয়া ভবিষ্যৎ আন্দোলন সফলে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। ১৮ জুলাই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের খালেদা জিয়া জানান, দল পুনর্গঠন করে বিএনপি আবারও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামবে। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও চলতি বছর এসব কমিটি আর গঠিত হয়নি।
পরবর্তীতে চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান খালেদা জিয়া। ওখানে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। তারেক বেশ কয়েক বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সুতরাং দল পুনর্গঠন ও সাংগঠনিক অনেক ব্যাপারেই লন্ডনে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
লন্ডনে তারেক ও প্রয়াত কোকোর পরিবারের সঙ্গে কোরবানির ঈদ করেছেন খালেদা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর তারা একসঙ্গে ঈদ করলেন। এছাড়া লন্ডন বিএনপির আয়োজনে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বক্তব্যও দিয়েছেন। সেখানে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এর মধ্যে তিনি চোখের অপারেশন করিয়েছেন। পায়ের চিকিৎসকও দেখিয়েছেন।
এদিকে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। তবে তার দেশে ফিরতে বিলম্ব হওয়া নানা শঙ্কা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মূলত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে খালেদার দেশে ফিরতে বিলম্ব হয়। তিনদিনের সফরে গত ১২ নভেম্বর লন্ডন যান মোদি। কিন্তু অনেক চেষ্টা-তদবির সত্ত্বেও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ব্যর্থ হন বিএনপির চেয়ারপারসন।
পাঁচবার তারিখ পরিবর্তন করে দুই মাসের বেশি সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর অবশেষে ২১ নভেম্বর দেশে ফিরেন খালেদা জিয়া। এর মধ্য দিয়ে তার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্ক ও জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়।
লন্ডন সফর প্রসঙ্গে গত ২৮ ডিসেম্বর গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য দুই মাস আমি দেশের বাইরে ছিলাম। বর্তমানে দেশবাসীর দোয়ায় আল্লাহর রহমতে অনেকটাই সুস্থ আছি। কিন্তু বিদেশে গেলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল যে, আমি আদৌ দেশে ফিরব না।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমি বরাবরই বলেছি যে, দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশই আমার একমাত্র ঠিকানা। যতদিন বাইরে ছিলাম প্রতি মুহূর্তেই ভাবনায় ছিলো দেশ। মনে পড়তো, নির্যাতিত ও অধিকার-বঞ্চিত দেশবাসীর কথা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি, কখন দেশে ফিরব।’
এদিকে, বছরজুড়ে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। আদালতে হাজিরা না দেয়ায় একবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। তবে বর্তমানে তিনি সব মামলাতেই জামিনে আছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দুদকের করা দুটি মামলা চলছে ঢাকার বকশীবাজারের ৩ নম্বর বিশেষ আদালতে। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা দুটিতে চলতি বছর মোট সাতদিন হাজিরা দিয়েছেন খালেদা। এছাড়া গত ৩০ নভেম্বর নাইকো মামলায় অন্য একটি বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন তিনি। সব মিলিয়ে ২০১৫ সালে মোট আটদিন আদালতে গেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সমাবেশে স্বাধীনতার যুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘বলা হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের পর দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আওয়ামী লীগের নেতারা ও মুক্তিযোদ্ধারা তার কড়া সমালোচনা করেন।
৬৬ দিনের লন্ডন সফর শেষে গত ২১ নভেম্বর দেশে ফিরে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডাকেন খালেদা জিয়া। দল ও জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় প্রতীকেই ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। তার এ সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন মামলায় আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা আবার প্রকাশ্যে আসার সুযোগ পায়। সুযোগ পায় জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার। নেতা-কর্মীরা বন্ধ থাকা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়গুলো খোলার সুযোগ পায়।
খালেদা জিয়া নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এই ঘটনায় বিএনপিকে সাধুবাদ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি শেষ পর্যন্ত ২৩টি পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছে।