চোখ ধাঁধানো আতশবাজির ঝলকানি ও গানের তালে তালে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। দেশ দুটির ভৌগোলিক অবস্থান সর্বদক্ষিণ মেরুতে হওয়ায় তারাই সবার আগে দেখা পেলো নতুন বছরের।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে চলছে বর্ষ বরণের শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তবে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় প্রতিবছরের নিয়মিত আয়োজন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বেলজিয়াম। বিশেষ সতর্কতা অবস্থানে গেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও মস্কো।
কাউন্টডাউন শেষ হতেই হাজার হাজার আতশবাজির ঝলকানিতে দিনের আলোর মতো আলোকিত হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের রাতের আকাশ। বর্ণিল আলোকচ্ছটায় জীর্ণতাকে বিদায় জানিয়ে স্কাই টাওয়ারের সামনে নববর্ষ বরণ উৎসবে মেতে ওঠে হাজার হাজার মানুষ। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান সর্ব দক্ষিণ মেরুতে হওয়ায় তারাই সবার আগে দেখা পেলো নতুন বছরের।
এর কিছুক্ষণ পর হরেকরকম রঙে আতশবাজির আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সিডনীর আকাশ। নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও এই মহনীয় দৃশ্য দেখতে অপেরা হাউজের সামনে জড়ো হন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থী।
এরপরই নতুন বছরের ঘণ্টা বাজবে চীন ও রাশিয়ায়। এ উপলক্ষে বেইজিং শহর ছেয়ে গেছে আলোয় আলোয়। নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি বিশেষ বাণী দেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র টাইমস্কয়ার এবারও ক্রিস্টাল বলের আলোয় বরণ করবে নতুন বছরকে। এ উপলক্ষে চলছে শেষ সময়ের ড্রপ টেস্ট। ৩২ হাজার এলইডি লাইটের ১২ ফুট ব্যাসার্ধের সাড়ে ৫ হাজার কেজি ওজনের বিশাল এই বলটি দেখতে প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখ দর্শনার্থী এ চত্বরে ভিড় করেন। যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে গেছে দেশটির পুলিশ।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তাঘাটে চোখে পড়বে মনোরম আলোর খেলা। তবে বর্ষবরণে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডি ব্রুকেরে চত্বরের ঐতিহ্যবাহী আতশবাজির খেলা এ বছর বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে থেকেই সন্দেহভাজনদের আটক করতে শুরু করেছে পুলিশ।
কয়েকটা দুষ্কৃতিকারীর জন্য আমাদের আনন্দকে বিসর্জন দিতে হলো। তবে নিরাপত্তার উপরে কোন কথা নেই।
প্যারিসের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বেশ কড়া অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। প্যারিসের বিভিন্ন দর্শনীয় ও জনবহুল স্থানে টহল দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
হামলার ভয় থাকলেও এ সময় কোন মানুষ ঘরে থাকতে চাইবে না। তাছাড়া এতো নিরাপত্তাবাহিনী থাকতে ভয় কিসের। নতুন বছর বলে কথা। হাসি-আনন্দেই কাটাবো।
এদিকে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্কতা জারি হয়েছে ভারতেও।