সিলেট: ২০১৩ সালে জনগণের ভোটে সিলেট নগরের মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৫ সালের শুরুতেই সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে যান তিনি। হারাতে হয় পদ।
২০১৫ সালের পুরোটাই মেয়রহীন ছিলো সিলেট সিটি করপোরেশন। কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় এ বছরের ৭ জনুয়ারি মেয়র পদ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এরপর সিসিকের প্যানেল মেয়রদের মধ্যে বিবাদের কারণে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদেও কেউ বসেননি। যে কারণে বছর জুড়েই প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিয়ে চলেছে সিসিকের কর্মকাণ্ড।
২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী।
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রদান করেন সিআইডি সিলেট জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল।
এতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকেও আসামি করা হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট আমলে নেন আদালত।
এই চার্জশিট আমলে নিয়ে আরিফসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফ। এরপর থেকেই কারাবন্দী আরিফুল হক চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। আর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলাটিও সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
৭ জানুয়ারি আরিফুল হক সাময়িক বহিষ্কারের পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়া নিয়ে প্যানেল মেয়রদের বিরোধ গড়ায় উচ্চ আদালতে পর্যন্ত। মীমাংসা না হওয়ায় এখনও অভিভাবকহীন সিলেট সিটি করপোরেশন।