পৌর নির্বাচনের প্রকাশ্য প্রচার শেষ। এখন অপেক্ষা ভোটের। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় ভিত্তিতে এ নির্বাচন উৎসবের আমেজ থাকলেও বাস্তবে ভোট কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত। নির্বাচনে কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে পছন্দের প্রার্থীকে, কোনো সমস্যা হবে না। তবে শুরু থেকে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসির এ আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছে না অনেকেই।
দেশের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় গতকালও হামলা, গাড়ি পোড়ানো, বোমা হামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর খবর পাওয়া গেছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মজিদ জব্বারের বাড়ি ও তাঁর নির্বাচনী অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে রবিবার গভীর রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বরগুনার পাথরঘাটায় কাফনের কাপড় পাঠিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর পবায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গণসংযোগের সময় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। দাউদকান্দিতে আগুন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গাড়িতে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের পক্ষ থেকে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলছে। অনেক এলাকায় দুর্বল প্রার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। আর এসব অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারো বিরুদ্ধেই কোনোরূপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী ব্যবস্থা না নিয়ে নির্বাচন কমিশন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেই যাচ্ছে।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল বলা হয়েছে, প্রতিটি পৌরসভায় সন্ত্রাসের এমন এক অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে যার ফলে বহু জায়গা থেকে তাদের মেয়র পদপ্রার্থীরা জীবনের ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এমন অভিযোগের পরও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ভোটের মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করতে আহ্বান জানিয়েছেন ভোটারদের প্রতি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ অভিযোগ করে বলেছেন, চাপের মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা আদায় করতেই বিএনপি এসব কথা বলছে। নির্বাচনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এবং আসন্ন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব মিথ্যাচার বন্ধ করার জন্য বিএনপির প্রতি তিনি আহ্বান জানান। এ নির্বাচনে জনগণের সঠিক রায়েরই প্রতিফলন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০টি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যে ১২টি নিজ দলের মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে, আর ৩৮টি ঘটনা ঘটেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে। ৭ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুটি দৃশ্যমান সহিংস ঘটনা ঘটেছে। গত দুই দিনে ঘটেছে ১১টির মতো সহিংস ঘটনা। এর ফলে ২৭১ জন আহত হয়েছে। তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতাও বাড়ছে। এসব দৃশ্যমান সহিংসতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কারো বিরুদ্ধেই কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা যায়নি।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দৃশ্যমান সহিংসতা ছাড়াও অদৃশ্য নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা অনেক ঘটেছে। একটি বড় নির্বাচনী অপরাধ ঘটেছে ফেনীতে, যেখানে তিনটি পৌরসভার ৪৮টি কাউন্সিলর পদের মধ্যে ৪৪টিতেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এসব ব্যাপারে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন প্রার্থীদের কাছ থেকে জোর করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে কমিশন এ ব্যাপারে টুঁ শব্দটিও করেনি। এ ছাড়া সাতজন মেয়র ও ১৩৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, যা পৌরসভা নির্বাচনের জন্য একটি রেকর্ড।’
শাহনেওয়াজের আশ্বাস : নির্বাচনে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ। গতকাল তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।
শাহনেওয়াজ আরো বলেন, ‘ভোটের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। মঙ্গলবার ব্যালট পেপার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। এখন পর্যন্ত মাঠের যে খবর পেয়েছি তাতে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী—নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছি। আপনারা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, তাতে কোনো সমস্যা হবে না। নির্বাচনে সব ধরনের অনিয়ম রোধে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দল যারা থাকবে তারা অভিযোগ করবে, এটা একটা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পরও আমরা বাস্তবসম্মত যে সব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রার্থীদের শঙ্কা : এদিকে ভোটকেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করে গতকালও বেশ কয়েকজন প্রার্থী চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। তাঁদের বেশির ভাগই বিএনপির প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। সাভার পৌরসভার মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন খান নঈম নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চলছে। বিএনপির প্রার্থীর মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী এ বি এম জিলানী কমিশনে অভিযোগ করে বলেন, এ পৌরসভায় সরকারদলীয় প্রার্থী ইসমাইল খোকন এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে। মীরকাদিম পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মনছুর আহামেদ কালাম ওই পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন। ভয়ভীতি ও হুমকির মুখে পৌরসভা নির্বাচনের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী হাজি রফিকুল আলম।
ফুলপুর থানার ওসি প্রত্যাহার : পক্ষপাত ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে ভোটের দুই দিন আগে ফুলপুর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল ওই ওসিকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান।
এর আগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, নোয়াখালীর হাতিয়া, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, মাদারীপুরের কালকিনি, কুমিল্লার মতলব উত্তর, নরসিংদীর মাধবদী ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মনিটরিং সেল গঠন : ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকিসহ সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য সাত সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। এ সেলের নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন। সদস্য হিসেবে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, একজন পুলিশ সুপার (এসপি) এবং বিজিবি, র্যাব ও আনসার-ভিডিপির মেজর পর্যায়ের কর্মকর্তা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার অথবা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা। এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. সামসুল আলম বলেন, নির্বাচনের দিন এই সেল বা কমিটি ২৩৪টি পৌরসভার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি ও পর্যবেক্ষণ করবে এবং তা ইসিকে অবহিত করবে।
বহিরাগতদের অবস্থান ও বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ : গত রাত ১২টার মধ্যেই বহিরাগতদের (যারা ভোটার বা বাসিন্দা নয়) নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভোটের দুই দিন আগে থেকে পরবর্তী আরো চার দিন পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা যাতে অস্ত্রসহ চলাচল করতে না পারেন সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বৈধ লাইসেন্সধারীদের সব ধরনের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসী-ক্যাডারদের গ্রেপ্তার ও ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও পুলিশকে বলা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টা যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আগের রাত অর্থাৎ আজ মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে মোট ৪৮ ঘণ্টা যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এরই মধ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইসির কর্মকর্তারা জানান, ইসি ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারী, নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
আরো এক এমপিকে সতর্ক করল ইসি : এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য গাজী এম এম আমজাদ হোসেনকে গতকাল সতর্ক করেছে ইসি। এ-সংক্রান্ত চিঠি ওই সংসদ সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের এমপি হাসিবুর রহমান ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহিরকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কড়া সতর্কবার্তা পাঠিয়ে বলা হয়, ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল নির্বাচন কমিশনাররা মৌখিকভাবে টেলিফোনে কয়েকজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকায় না থাকার পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা ওই সব সংসদ সদস্যের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা থামাতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে জানালে নির্বাচন কমিশনাররা তাঁদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।