শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার(২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নড়িয়া উপজেলা চত্বর ও নড়িয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হায়দার আলী ও নারকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে নৌকার সমর্থক শামীম বেপারীর ওপর শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর সমর্থকরা হামলা করে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হায়দার আলীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষে উপজেলা চত্বর, পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে ও নড়িয়া বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয়পক্ষ বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সংঘর্ষে হায়দার আলীর সমর্থক শামীম বেপারী, সেকেন্দার রাড়ী, রাজু বেপারী, মোকলেছ বেপারী, আজগর বেপারী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবু রাড়ীর সমর্থক নড়িয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারী, জলিল সরদার, মালেক মাদবর, খোকন ঢালী, দিলু খান, সুজন, মান্নান সরদার, জুয়েল চৌকিদার, সুমন সহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে শামীম বেপারী ও সেকেন্দার রাড়ীকে জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, পৌরসভা নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।