আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

জাতীয়

 

2015_09_08_12_53_41_c5D9Mm5RjjsXLR95UgvwaOioRUTaMK_original

 

 

 

 

পাবনা: পাবনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবেক ইউপি সদস্য আরজান সরদার (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই ঘটনায় বিএনপি নেতা মির্জা মকবুল হোসেন ওরফে দুলাল মাস্টার (৫২) মৃত্যুর ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

শুক্রবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরজান সরদার মারা যান।

জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের পয়দা গ্রামে জমিতে ক্যানাল কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারপিটে স্থানীয় বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মির্জা মকবুল হোসেন ওরফে দুলাল মাস্টার নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ইউপি সদস্য আরজান সরদার ও আহম্মদ আলী।

পুলিশ ও স্থানীয় জানান, নিজ জমিতে ক্যানেল কাটার সময়ে পূর্ববিরোধে প্রতিপক্ষের লোকজন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মির্জা মকবুল হোসেন ওরফে দুলাল মাস্টারের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত মির্জা আমজাদ হোসেনের ছেলে।

এদিকে দুলাল মাস্টারের ওপর হামলা ও মারপিটের সময় এগিয়ে আসলে আহত হন সাবেক ইউপি সদস্য একই এলাকার জদু সরদারের ছেলে আরজান আলী ও এসকেন শেখের ছেলে আহাম্মদ আলী (৩০)। তাদের দু’জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আরজান সরদারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঘটনার রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শুক্রবার ভোরে মারা যান।

এ ঘটনার ২ দিন পর ২২ ডিসেম্বর নিহত মির্জা মকবুল হোসেন ওরফে দুলাল মির্জার স্ত্রী হাসি মির্জা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানাতে ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *