গ্রাম বাংলা ডেস্ক: পবিত্র ঈদের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার ঈদ উল ফিতর। ঈদ মোবারক। সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৪৩৪ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। তারপর থেকেই সারা দেশ ঈদের আনন্দে মেতে ওঠে।
অবশ্য এবার বাংলাদেশের নানা সঙ্কটের পাশাপাশি গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরাইলি বর্বরতা, রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশায় ঠিক সেভাবে ঈদের খুশি দেখা যাচ্ছে না।
এক মাস সিয়াম সাধনর পর বাংলাদেশের মুসলমানরা আগামীকাল উৎসবে মেতে ওঠবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহ’র বৃহত্তম উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে পৃথক বাণীতে তাঁরা দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহ’র অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর সকলের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই ঈদ মোবারক।’
তিনি বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে সব মানুষকে।’ তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ঈদুল ফিতরের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসুক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।’
তিনি বলেন, এদিন ধনী-গরীব, আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় সমাজ গঠনে ঈদুল ফিতরের আবেদন তাই চিরন্তন।
ঈদুল ফিতরের শিক্ষা আমাদেরকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরে তিনি সকলের আনন্দ ও কল্যাণ কামনা করেন।