যশোর: যশোরের চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পোড়ানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঁচ-সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাতে চৌগাছা পৌর এলাকার বেলেরমাঠ বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে কে বা কারা কাপড়ের তৈরি নৌকা প্রতীকে আগুন দেয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূরউদ্দিন আল মামুন হিমেল সমর্থকরা এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম সাইফুর রহমান বাবুলের সমর্থকদের কাজ বলে সন্দেহ করতে শুরু করে।
একপর্যায়ে রোববার রাতে বেলেরমাঠ বটতলা এলাকায় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে দুই জন আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চৌগাছার একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম সাইফুর রহমান বাবুলের সমর্থকরা ৩-৪ রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনার জের ধরে বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুলের চাচা চৌগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হাবিবের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুরের সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন চৌগাছার ওসি ইলিয়াছ হোসেন।
তিনি জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুলের লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়া হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নূরউদ্দিন আল মামুন হিমেল অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় তার পথসভা বানচাল করে দিয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুলের নেতাকর্মীরা।
সভা চলাকালে তাকে লক্ষ্য করে গুলিও করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো রকমে বেঁচে গেছেন। তিনি আরও বলেন, সবকিছুর জন্য বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল দায়ী। নিজের পরাজয়ের আশঙ্কায়বন্ধ করতে তিনি হামলার পথ বেছে নিয়েছেন।