ব্যবসায়ী নির্যাতন, সিলেটে ৮ পুলিশ বরখাস্ত

গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা

10167950_1477126812428187_4242576705385030915_n

গ্রাম বাংলা ডেস্ক: পুলিশ হেফাজতে রেখে ব্যবসায়ী নির্যাতনের অভিযোগে সিলেট কোতোয়ালি থানার সদ্য বদলি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল বণিকসহ আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ওই ব্যবসায়ীর নাম কামাল আহমদ চৌধুরী। তিনি ছাতক পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম চৌধুরীর বড় ভাই।

রোববার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পরিদর্শক পদ মর্যাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়। এ আদেশ পেয়ে দুই কর্মকর্তার সহযোগী ছয়জনকে মহানগর পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত করে। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও বরখাস্ত হওয়া অন্য ছয়জন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু তাহের, কনস্টেবল অধীরচন্দ্র, রাজীব কান্তি দাস, আজাদুর রহমান ও নাজমুল হোসেন।

পুলিশ ও নির্যাতিত ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই কামাল আহমদ চৌধুরী সিলেট নগরের নয়াসড়ক এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার দায়ে পুলিশের হাতে আটক হন। পরে তাঁকে কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য থানা হাজতে আটক রেখে নির্যাতন করেন। নির্যাতিত কামাল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।

পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কামালের আরেক ভাই ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী ২৪ জুলাই হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সালমা মাসুদ চৌধুরী ও মো. হাবিবুল গনির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পুলিশের আইজিপি এবং সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও মামলা করার নির্দেশ দেন। ওই দিনই কোতোয়ালি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা আতাউরকে রংপুরে তাত্ক্ষণিক বদলি করা হয়েছিল।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আটজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *