কুষ্টিয়া : ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে সংঘর্ষের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্রদের বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের রোববার সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ সংবলিত নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়েছে স্ব স্ব হলে। শীতকালীন ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ফের চালু হবে বলে জানানো হয় নোটিশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. ইকবাল হোছাইন বাংলামেইলকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে হল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, ইবির শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছিল।
ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে অবস্থান নেয়। দুপুর একটার দিকে উভয় গ্রুপ মিছিল শুরু করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ও ঘটনা ঘটে। এতে বশির নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধসহ সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা দলীয় টেন্টে এবং সহ-সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমবাগানে অবস্থান নেয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।