কুষ্টিয়া: শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বশির নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকরাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়েছে।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছিল।
শনিবার সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে অবস্থান নেই। দুপুর একটার দিকে উভয় গ্রুপ মিছিল শুরু করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ও ঘটনা ঘটে। এতে বশির নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা দলীয় টেন্টে এবং সহ-সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমবাগানে অবস্থান নেয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও টেন্ডারকে কেন্দ্র করে আবারো ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সহ-সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই গ্রুপ পিছু হটেছে বলেও জানান তিনি। তবে আহতদের ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।