ঢাকা: গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ইতিহাস- ক্লাসের কোনো পড়ায় তেমন সমস্যা নেই। বিদেশি ভাষা ইংরেজিতেও তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু গণিতের সামনে গেলে মাথা ঘুরায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর। স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এমনকি চাকরি প্রার্থীদের অবস্থায়ও শোচনীয় হয় গণিতের কাছে গেলে। অথচ ভীতিকর এই বিষয়ে খুব সহজে ভালো করা সম্ভব। তাই জেনে নিতে পারেন গণিতে ভালো করার কিছু সহজ উপায়-
– গণিতে ভালো করতে হলে প্রস্তুতি নিতে হবে ছোট থেকে। ছোটবেলায় নামতা ভালো করে মুখস্থ করা দরকার। কারণ ছোটবেলার ছোট ফাঁকি বড় বেলায় বড় হয়ে ধরা দিতে পারে। আর যদি ছোটবেলায় ফাঁকি দিয়েই থাকেন, এখনি একটু সময় খরচ করে নামতা মুখস্ত করে নিন।
– একটু উপরের ক্লাসে উঠলে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে শুরু হয় গণিতের নানা সূত্র। সেখানে ফাঁকি দেওয়া চলবে না। সূত্র মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
– কোনো অঙ্ক বা জ্যামিতি না বুঝলে সেটা বাদ দিয়ে পরের অধ্যায়ে যাওয়া ঠিক নয়। যখন যেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে সেটা শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে ভালো করে বোঝা উচিৎ।
– গণিত কখনো মুখস্থ করার নয়। এই অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন এবং চেষ্টা করুন বুঝে অঙ্কের সমাধান আনতে।
– কঠিন অঙ্ক হলে বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে তা অভ্যাসে আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, সব কিছুই অনুশীলনের মাধ্যমে আয়ত্বে আনা সম্ভব।
– পরীক্ষার আগের দিন চর্চা করতে বসলে হবে না। অঙ্কের অভ্যাস শুরু করতে হবে অনেক আগে থেকেই।
– একদিনে বইয়ের সব অঙ্ক শেষ করে ফেলার টার্গেট না নেওয়াই ভালো। বরং কোনো নির্দিষ্ট ধরনের অধ্যায়ের উপর পারদর্শী হওয়া ভালো। তাতে ভবিষ্যতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
– অযথা ক্যালকুলেটার না ব্যবহার করে হাতে কলমে তা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। এতে পারদর্শীতা বাড়বে।
– ভালো মানের বই নির্বাচন করাও জরুরি। সেখানে দেয়া সব তথ্য যেন সঠিক থাকে। প্রয়োজনে অঙ্কের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও অনুসরণ করা যেতে পারে। বইয়ের একটি অধ্যায় শেষ হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে সেই অধ্যায়ের অঙ্ক নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তাতে অন্য বন্ধুদের ব্যবহৃত পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাবে।