চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় দু’টি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটি ও নৌবাহিনীর হাসপাতাল এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আরো কয়েকটি অবিস্ফোরিত বোমা সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা নৌবাহিনীর দুই সদস্যকেও।
অবশ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈশা খাঁ মসজিদে আজ জুমার নামাজের পর দুইটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। মসজিদে বাহিরের মুসল্লিরাও নামাজ পড়তে আসে। উক্ত বিস্ফোরণে ৫/৬ জন সামান্য আহত হয়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অবিস্ফোরিত আরও কয়েকটি বিস্ফোরকসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত চলছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘নৌঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম অবিস্ফোরিত বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে। বিস্ফোরণে ছয়জন মুসল্লির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
তবে ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) জাহেদুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় দুটি মসজিদ রয়েছে। একটি ঈশা খাঁ ঘাঁটির কাছে, আরেকটা হাসপাতালের কাছে। দুটো মসজিদের ভেতরেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। বেশকিছু বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় বাইরে পাওয়া গেছে। ছয়জন মুসল্লি আহত। তারা সবাই নৌবাহিনীর বেসামরিক কর্মকর্তা।’
তিনি জানিয়েছেন, ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে দু’টি এবং নৌবাহিনীর হাসপাতাল এলাকার মসজিদে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
জাহেদুল ইসলাম আরো জানান, বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে নৌবাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। তারা হলেন- নৌবাহিনীর ব্যাটম্যান রমজান ও বলপিকার মান্নান।
তবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করছেন না। এমনকি ঘটনাস্থলে সাংবাদিক যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটকিয়ে দেয়া হয়। কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয় তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরাও। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি। পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং র্যাব ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। বর্তমানে সেখানে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে।