সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে গণতান্ত্রিক সমাজ পাওয়া সম্ভব হয় না। সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার কথা বলা আছে। বিশেষ করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা ভেঙে বলা আছে। অনেক দেশের সংবিধানেই এভাবে বলা নেই। তাই আমাদের দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা উচিত। সংবাদপত্রে সকল মতকে তুলে আনতে পারলে একটা ঐকমত্য গড়ে ওঠে। যার ভিত্তিতে নীতি নির্ধারণ করা, প্রশাসন পরিচালনা সহ এমন গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা আমরা পাবো যাতে আমাদের আকাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, কোন কিছু পদক্ষেপ নেয়ার আগে আলোচনা হওয়া উচিত। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নয় জনগণের কথা বলে যেসব প্রতিষ্ঠান, যেমন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য নাগরিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে এদের সবার মতামত নেয়া প্রয়োজন। সকলের ঐকমত্যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে তখন আর বিতর্ক থাকতো না। কিন্তু সবচেয়ে অনাকাক্সিক্ষত বিষয় হচ্ছে নির্বাচনের আগেই নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নির্বাচনের পরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে কিনা এটা নিয়ে আরও বিতর্ক তৈরি হয় যা বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। তারপরও আমরা অতীতমুখী নই। আমাদের আকাক্সক্ষা থাকবে যে, পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে। এখানে কোন জোরজবরদস্তি হবে না। পেশিশক্তির অপপ্রয়োগ হবে না। টাকার খেলা চলবে না। মানুষ যেটা আশা করে সেটা যেন পূরণ হয়। তা না হলে অতীতের নির্বাচনগুলোতে আমরা দেখেছি তো কি হয়? নির্বাচন বিতর্কিত হলে আমাদের গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়।