ষ্টাফ করেসপনডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্ধিতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হয়ে পুলিশ জুয়েল নামে এক ব্যবসায়ীকে তিন দিন থানায় আটক রেখে নির্যাতন করে ৬লাখ টাকা আদায় করেছে। মুক্তির শর্তে আরো ৪ লাখ টাকা দাবির ঘটনা জানা জানি হয়ে গেলে পুলিশ আটক ব্যবসায়ীকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলার বড় চালা গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে জুয়েল মিয়া(২৮) স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে মুরগির বিষ্টা কেন-বেচার ব্যবসা করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করতে সম্প্রতি তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তার বাবার হত্যাকারী চক্র।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২১ জুলাই প্রতিপক্ষের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে কাপাসিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল ইসলাম জুয়েলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এনে গোপন কক্ষে নিবিড় জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে জুয়েলের পরিবার ওই দারোগাকে ৬ লাখ টাকা দেয় নিবিড় জিঞ্জাসাবাদ থেকে বাঁচার জন্য। টাকা দেয়ার সময় দারোগা টাকার কথা প্রকাশ করলে জুয়েলকে ক্রস ফায়ার করা হবে বলে পরিস্কার জানিয়ে দেন জুয়েলের পরিবারকে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর জুয়েলকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার শর্তে আরো ৪ লাখ টাকা দাবি করে দারোগা নাজমুল। বিষয়টি জানাহানি হয়ে গেলে পুলিশ দৌঁড়ঝাপ শুরু করে। অতঃপর দাবিকৃত ৪লাখ টাকা না নিয়ে বুধবার বিকালে একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে জুয়েলকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
কাপাসিয়া থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দারোগা নাজমুল কনষ্টেব থেকে দারোগা হয়েছেন। তাই টাকা ছাড়া মুক্তি নাই।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) নাজমুল ইসলাম জানান, আমি বাইরে আছি। রেকর্ড না দেখে বলতে পারবো না। জুয়েল আমার ডাকাতি মামলায় সন্দেহভাজন আসামী ছিলো।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি শতভাগ মিথ্যা। জুয়েল আটকের পর আওয়ামীলীগ, বিএনপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই আমার কাছে তদ্বির করেছেন। তাকে কোন কষ্ট দেয়া হয়নি।