গ্রাম বাংলা ডেস্ক: পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদাকে বহনকারী অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের ৫৮৪ নং ফ্লাইট ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৮টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরের বাইরে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এসময় স্বাগত জানাতে আগ থেকে অপেক্ষারত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। খালেদার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়।
দলের চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে অন্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সদ্য ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, ড. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মিজানুর রহমান মিনু, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী খান সপু, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা প্রমুখ।
এরপর স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ভিড় জমানো নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন খালেদা। বেশ কিছু সময় সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথাবার্তা বলে গাড়িতে উঠেন তিনি। তারপর সড়কে অপেক্ষারত নেতাকর্মীদের উদ্দেশেও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। পৌনে ৯টার দিকে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হয় খালেদাকে বহনকারী গাড়িবহর।
গত ২০ জুলাই ওমরাহ পালনের উদ্দেশে বাদশার আমন্ত্রণে সৌদি যান খালেদা। মদিনায় পৌঁছে তিনি মহানবীর (স.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। এরপর সেখানে তিনদিন অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগীতে সময় কাটান। ২২ জুলাই রাতে মক্কায় আসেন। ওই রাতেই পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। ধর্মীয় এই সফরে রাজনৈতিক বিষয়কে গুরুত্ব দেননি তিনি। ইবাদতের কারণে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেননি বললেই চলে।
তবে, মদীনায় আল ইমান হোটেলে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠকে মিলিত হন তিনি। সাংগঠনিক কিছু সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন তারা। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারেক রহমানও।
এ ওমরাহ পালনে খালেদার সঙ্গে ছিলেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান, খালেদার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, চেয়াপারসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত এনামুল হক চৌধুরী, সৌদি বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, আহমদ আলী মুকিব, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, শহিদুল ইসলাম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।