সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চার ডাকাত। গুলিবিদ্ধসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কাপাসডাঙ্গা গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার ভোররাতে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে, একটি ডাকাতদল সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে পরিবহন ডাকাতি করতে ওঁৎ পেতে আছে। খবর পেয়েই থানা পুলিশের একটি দল ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় পুলিশেরও দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটতে শুরু করলে পুলিশ চার ডাকাতকে আটক করে। এরা হলেন, আবুল কাসেম (৩০), সুমন ইসলাম (২৮), নজরুল ইসলাম (৩৬) ও রবিউল ইসলাম (১৮)।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে রাস্তার পাশ থেকে আহত অবস্থায় আরও চার ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। এরা হলেন, আবু সাঈদ (৩৫), আরিফুজ্জামান অনু (২০), তরিকুল ইসলাম গাজী (২১) ও সুবেল খান (২২)।
এ সময় ডাকাতদলের কাছ থেকে পুলিশ একটি পাইপগান, একটি দেশি রিভালবার, দু’টি বন্দুকের কার্তুজ, চারটি গুলির খোসা, দু’টি ধাঁরালো দা, চারটি লোহার রড, বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ ও তিনটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে।
পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাকাতদলের সর্দার আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আবু সাঈদ যশোরের কেশবপুর থানার মৃত এলাহী বক্স মোড়লের ছেলে।
আহত বাকি তিন ডাকাতকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আহত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে।