বাদ দেওয়া হচ্ছে সংরক্ষিত নারীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া নির্বাচনী প্রতীক। ইতোমধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) প্রতীকগুলো বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ইতোমধ্যে ওইসব প্রতীক বাদ দেওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। ইউপি নির্বাচনে এসব প্রতীক আর রাখা হবে না। নারীরা আমাদেরই মা-বোন। কাজেই তাদের অপমান করার জন্য এমন প্রতীক রাখা হয়নি। এজন্য প্রতীক খুঁজে দেখে এগুলো বাদ দেওয়া হবে। এই প্রতীকগুলো আর থাকবে না।
এর আগে সকালে পৌর নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত প্রতীক বরাদ্দ রাখায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নারী নেতারা। পৌরসভা নির্বাচনে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক পরিবর্তনের দাবিও জানায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি দেয়।
পরে শিরীন সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ইসি মহিলা প্রার্থীদের সংরক্ষিত আসনের জন্য চুড়ি, ফ্রক, পুতুলসহ যে প্রতীকগুলো বরাদ্দ দিয়েছে, এগুলো নারীদের জন্য অপমানকর এবং এগুলো দিয়ে তাদের অবমূল্যয়ান ও অসম্মান করা হয়েছে। যেখানে নরীরা বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মানিত হচ্ছে, সে সময় পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারীদেরকে যেভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে তাতে গোটা জাতি হতবাক ও বিস্মিত।