গ্রাম বাংলা ডেস্ক: চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার পরিকল্পিতভাবেই সংলাপ চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে হোটেল ফারস্ এ ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব গ্র্যাজুয়েট বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মনিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়া, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন খান প্রমুখ।
সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে এটাকে সংবিধান রক্ষার নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলো। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই এই দলটি তাদের সেই অবস্থান থেকে দূরে সরে এসেছে। সে কারনেই এখন জনগণের প্রতিনিধিত্বহীণ সরকার হয়েও তারা ৫বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছে। ভিন্ন প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীনরা দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া গার্ল সামিটে বাংলাদেশের নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, তিনি যা বলেছেন তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি।
সাবেক এই মন্ত্রী আরো বলেন, তিনি যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছেন। আসলে এটি সত্য নয়। যুক্তরাজ্য ওই নির্বাচনকে সমর্থন করেননি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন বলে দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
ক্ষমতাসীনরা দেশকে ধ্বংসের চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন সরকার পতনের আন্দোলনকে একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপির ভবিষ্যত আন্দোলনে দেশের জনগণকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।