জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা জিজ্ঞাসাবাদে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিওকে গুলি করা কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার রংপুরের ডিআইজি হুমায়ুন কবির এক ব্রিফ্রিংয়ে এ কথা জানান।
জেএমবির এ কমান্ডার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর এলাকায় মাজারের পরিচালক রহমত আলীকে গলাকেটে হত্যা এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের পিএস রুহুল আমিনকে গুলির ঘটনাগুলোর মূল হোতা বলে উল্লেখ করেন ডিআইজি।
ডিআইজি আরও বলেন, মাসুদ রানাকে গত ২ ডিসেম্বর রাতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা কল্যাণি ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বোমা তৈরির বিস্ফোরকদ্রব্য এবং বেশ কয়েকটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে (মাসুদ রানা) এসব ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডারও।
মাসুদ রানা ওই অঞ্চলে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, পুলিশের কাছে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিওকে গুলি করে হত্যা এবং রংপুর মেডিকেল পরিচালকের পিএসকে গুলি করে আহত করা এবং কাউনিয়ার মধুপুর এলাকায় মাজারের পরিচালক রহমান আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সে (মাসুদ রানা) জড়িত। তিনটি মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং এসব ঘটনার আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। সবকিছুই গুছিয়ে আনা হয়েছে। খুব দ্রুত এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রংপুরে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় জাপানি নাগরিক হোশি কোনিওকে তিন দুর্বৃত্ত হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ৮ নভেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের পিএস রুহুল আমিনকে গুলি করে আহত এবং ১৫ নভেম্বর কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর এলাকায় মাজারের রহমত আলীকে জবাই করে হত্যা করা হয়।