বৃষ্টি নেইঃ তবু জলজটে মাওনা চৌরাস্তার বাসিন্দারা আবাসিক ভবন মালিকদের সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত পানি সড়কে ছেড়ে দেওয়ায় দুর্ভোগে মাওনা চৌরাস্তাবাসী

Slider ঢাকা

NEWS_PH_1

 

 

 

 
রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার ব্যস্ততম মাওনা চৌরাস্তায় আশপাশের আবাসিক ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত পানি ড্রেন উপচে চৌরাস্তা মোড়ে সড়কের উপর উঠে পড়ায় এক সপ্তাহ যাবত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চৌরাস্তাসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মান করছে ভবন মালিকেরা।

ওইসব আবাসকি ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত পানি মহাসড়কের ওপর জমে থাকায় চৌরাস্তায় নিয়মিত যাতায়াতরত বাসের যাত্রী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও বাজার করতে আসা ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌরসভার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভবন মালিকেরা আবাসিক ভবন নির্মাণ করার ফলে সেপটিক ট্যাঙ্কের পানি সরাসরি চৌরাস্তা মোড়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এক সপ্তাহ যাবত বিষাক্ত পানি সড়কের ওপর জমে থাকায় শ্রীপুর পৌর এলাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম মাওনা চোরাস্তা চলাচলের একবোরে অনপুযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী পথচারী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সকল ঋতুতেই জলজটের শিকার হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শ্রীপুর পৌর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ মাওনা চৌরাস্তায় চলাচলকারী লোকজনের।

মাওনা চৌরাস্তা লাইসিয়াম স্কুল অব টেকনোলজির অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে পৌর কতৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে বিষাক্ত পানির ভেতর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে।

দীর্ঘদিনে সুষ্ঠ্যু ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় এবং স্থানীয় ভবন মালিকদের সেফটিক ট্যাঙ্কির বিষাক্ত পানি রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন বিপনী বিতান ও শপিং কমপ্লেক্সের সামনে সারা বছর বিষাক্ত পানি জমে থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকগনের চরম ক্ষতি হচ্ছে।

মাওনা চৌরাস্তার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফুল ইসলাম রতন জানান, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনের পানি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ায় ক্রেতা সাধারন সেপটিক ট্যাঙ্কের পানি পার হয়ে মাকের্টে না আসায় বেচাকেনা কম হচ্ছে।

মাওনা চৌরাস্তার ভাই ভাই টাওয়ারের সোয়াদ বস্ত্রালয়ের মালিক জামান মিয়া জানান, সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত পানি রাস্তায় জমে থাকার ফলে অনেক সময় পানি গড়িয়ে দোকানে এসে পড়ায় মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে দোকান মালিকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

শ্রীপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ছানোয়ার হোসেন জানান, পানি জমার কারণ বের করে জনদুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্রীপুর পৌসভার মেয়র আনিছুর রহমান জানান, ড্রেনের নির্মাণ কাজ চলতেছে বিধায় সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অতি দ্রুতই এর সমাধান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *