গ্রাম বাংলা ডেস্ক: হামাসের রকেট হানা ঠেকাতে এ বার সেনা পাঠিয়ে ‘ধর্ষণ’ করার হুমকি দিয়েছেন এক ইসরাইলি অধ্যাপক।
সম্প্রতি ইসরাইলি একটি রেডিওতে হামাসের রকেট-হানা ঠেকাতে এই ‘ধর্ষণ-অস্ত্র’ প্রয়োগের পরামর্শ দেন বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যের শিক্ষক মোরদেচাই কেদর। তিনি বলেন, ‘অস্ত্রে যুদ্ধ অনেক হয়েছে। এ বার বরং গাজায় ঢুকে মহিলাদের ধর্ষণ করতে শুরু করুক সেনা! কোনো হামাস সদস্যের মা-বোন-স্ত্রীকে যেন বাদ না দেয়া হয়।’ এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে ইসরাইল ও প্যালেস্তাইনের সংবাদমাধ্যমে। একজন শিক্ষকের এমন ধর্ষণ-মন্তব্য নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে স্থানীয় সংবাদপত্রে।
গত রবিবার রাতে অ্যারন শল নামে এক ইসরাইলি সেনাকে অপহরণ করার কথা জানিয়েছিল হামাস। ওই রাতেই সরাসরি সম্প্রচারিত কেদরের রেডিও-সাক্ষাৎকারে উঠে আসে গাজা-পরিস্থিতির কথা। বিন্দুমাত্র ইতস্তত না করে কেদার সে রাতে বলেছিলেন, ‘জঙ্গিদের ভয় দেখানোর একটাই রাস্তা আছে। যারা আমাদের সেনাকে অপহরণ করছে, তাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করা হলেই তারা চুপ করে যাবে।’ কেদরের কথায় অস্বস্তি এড়াতে পারেননি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও। কেদারকে কার্যত থামিয়ে দিয়ে সঞ্চালক ওশি হাদার জানান, সেনাবাহিনী এমন ‘পরামর্শ’ মানতে পারে না! তাতেও ক্ষান্ত দেননি কেদর। তিনি জানান, সেনা কী করবে বা করবে না, সেটা তিনি বলছেন না। তিনি শুধু পথ দেখাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, পশ্চিম এশিয়ায় এমনটাই নাকি রীতি!
সরকারি সংবাদমাধ্যমে একজন শিক্ষকের এমন মন্তব্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে নারী সুরক্ষা সংগঠনগুলি। কেদরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চিঠিও দিয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে তাতে কর্ণপাত করতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, কেদরের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।