আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল রশিদ দোস্তামের মুখপাত্র সুলতান ফাইজি ট্যুইটারে লিখেছেন, “তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুর আহত অবস্থায় মারা গেছেন।”
এক প্রতিবেদনে সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার পাকিস্তানে কোয়েটায় জঙ্গি-বিদ্রোহীদের এক বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিবাদের জেরে গোলাগুলিতে মনসুর গুরুতর আহত হয়ে পরবর্তী সময়ে মারা যান।
তালেবান নেতা মোল্লা আমির খান মুত্তাকির বরাতে সিনহুয়া জানিয়েছে, মোল্লা আখতার মনসুর বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
এরআগে বিবিসি জানিয়েছিল, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই গোলাগুলি শুরু হয়। এতে তালেবান গোষ্ঠীর সশস্ত্র চার সদস্যও মারা গেছেন।
জুলাইয়ে তালেবান গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর ঘোষণার পর মোল্লা মনসুরকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মনোনীত করার বিষয়টি এই ইসলামপন্থি মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীটির মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করে।
তালেবানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জ্যেষ্ঠ নেতা মনসুরের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকৃতি জানান। এমন কী গেল মাসে সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটিতে মোল্লা মোহাম্মাদ রাসুলের নেতৃত্বে ভাঙনেরও সৃষ্টি হয়।
তালেবানের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আবদুল্লাহ সারহাদি নামে এক জঙ্গির বাসায় গোলাগুলি চলার সময় মোল্লা মনসুর ও তার দেহরক্ষীরা সেখানে ছিলেন।
সারহাদি যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে কারাগারে বেশ কয়েকবছর বন্দি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
ঠিক কী কারণে কোয়েটায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটল তা পরিষ্কার নয়।
তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, “বৈঠকে আলোচনা চলার সময় কিছু সংখ্যক জ্যেষ্ঠ সদস্যের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয় এবং এরপরই তারা পরস্পরকে লক্ষ করে গোলাগুলি শুরু করেন।
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর ২০১৩ সালে মারা গেলেও চলতি বছরের জুলাইয়ে তার মৃত্যুর খবর গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।