বিদ্রোহী প্রার্থী অনেক

Slider রাজনীতি

untitled-1_177605_177619

 

 

 

 

পৌর মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। ২৩৪টি পৌরসভার অর্ধেকের মতো বিদ্রোহ করে মেয়র পদে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হয়েছেন দলীয় মনোনয়নবঞ্চিতরা। এ অবস্থায় নির্বাচনের মাঠে জয়লাভের চেয়ে অন্দরের বিদ্রোহ সামাল দেওয়া নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রধান দুই দল। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর আগে থেকেই কিছু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ সেরে রাখলেও গতকালই মূলত অধিকাংশ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৪টি পৌরসভায় মেয়রের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরাও উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে মেয়র পদে এবারই প্রথম দলীয় ভিত্তিতে ও দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন হওয়ায় এই পদেই সবার আগ্রহের মূল বিষয় ছিল। সেই সঙ্গে কারা কারা দলীয় প্রার্থী হলেন কিংবা কারা কারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- সে নিয়েও দেশজুড়ে ছিল তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’র আড়ালে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার এই প্রবণতা আওয়ামী লীগেই বেশি। তৃণমূল পর্যায়ে বিশাল সংগঠন ও ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আগে থেকেই মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যাও ছিল বেশি। ফলে একক প্রার্থী মনোনয়ন দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে দলটিকে। এমনকি মনোনয়নবঞ্চিতদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেষ মুহূর্তে দুই-একটি পৌরসভায় দলীয় মনোনয়নে রদবদলও করা হয়েছে। এরপরও ব্যাপক হারে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা ঠেকানো যায়নি দলটিতে।
অন্যদিকে সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও রাজনীতির মাঠের প্রধান সরকারবিরোধী দল বিএনপিতেও মনোনয়নবঞ্চিত মেয়র প্রার্থীদের বিদ্রোহের এমন প্রবণতা দেখা গেছে। এই দলেরও মনোনয়নবঞ্চিত অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কোথাও কোথাও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হয়েছেন।

গত রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের হিসাবে ৮৭টি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী ৪১১ জন। সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ৩ হাজার ২৫৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ৮৫০ জন। সমকালের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মেয়র পদে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ৮০ এবং বিএনপির ৩০ জনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। যাচাই-বাছাই ও মনোয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় এ সংখ্যা আরও কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগে থেকেই অবশ্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করে আসছে দুই প্রধান দলই। আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনেও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমন হুঁশিয়ারি পুনরুচ্চারণও করেছেন। আর বিএনপির পক্ষে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের স্বার্থে কোথাও যেন কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী না হন, সে জন্য দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিঠিও পাঠিয়েছেন। এত সব উদ্যোগ সত্ত্বেও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা ঠেকানো যায়নি দুই দলেই।

এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে দেশের বিভিন্ন স্থানেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা। ফেনীতে গত বুধবার রাতে সরকারদলীয় সমর্থকরা বিএনপি প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগ :
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহ জেলার ৯টি পৌরসভার মধ্যে মেয়র পদে ফুলপুরে আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি শশধর সেন, বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান মেয়র মো. শাজাহান এবং বিএনপির দলীয় প্রার্থী আমিনুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এইচ ইউসুফ।

গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম হবি, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য আবু কাউসার চৌধুরী রন্টি এবং বিএনপি দলীয় প্রার্থী সুজিত কুমার দাস, বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হালিম।

ঈশ্বরগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান, বিদ্রোহী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. আবুল খায়ের, উপজেলা তাঁতী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রিপন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবদুস সাত্তার এবং বিএনপির দলীয় প্রার্থী ফিরোজ আহমদ ভুলু, বিদ্রোহী বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামছুল হাকিম বকুল।

নান্দাইলে আওয়ামী লীগের রফিক উদ্দিন ভূইয়া, বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের আব্দুস সাত্তার ভূঞা উজ্জ্বল এবং বিএনপির দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র এ এফ এম আজিজুল ইসলাম পিকুল। গফরগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন সুমন এবং বিএনপির দলীয় প্রার্থী শাহ আবদুল্লাহ আল মামুন।
ভালুকায় আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র ডা. এ কে এ মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ সমর্থক শেখ মো. ওমর ফারুক মাস্টার এবং বিএনপির হাতেম আলী খান, বিদ্রোহী পৌর বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন সরকার।

ফুলবাড়ীয়ায় আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র গোলাম কিবরিয়া এবং বিএনপির ওমর ফারুক, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য চাঁন মাহমুদ।

ত্রিশালে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাইদুল ইসলাম জুয়েল সরকার, বিদ্রোহী সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম পারভেজ, বিএনপির আমিনুল ইসলাম আমিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান শামীম। স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল।

মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র আবদুল হাই আকন্দ, বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী এবং বিএনপির শহীদুল ইসলাম শহীদ, বিদ্রোহী উপজেলা বিএনপির সদস্য মোর্শিদুজ্জামান সাইফুল ।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু। কালিহাতী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বিকম, বিএনপির প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী আকবর জব্বার, স্বতন্ত্র হুমায়ুন খালিদ, শহিদুল ইসলাম।

গোপালপুর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হক ছানা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক, যুবলীগের সদস্য বেলায়েত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশারাফাজ্জুমান আজাদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রুবেল।
ভূঞাপুর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মাসুদুল হক মাসুদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম চঞ্চল, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল খালেক মণ্ডল, বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।

ধনবাড়ী পৌরসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দলীয় প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, বিএনপির পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম সোবহান, স্বতন্ত্র জহুরুল হক হেলাল। মধুপুর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরকার শহিদুল ইসলাম। মির্জাপুর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাহাদত হোসেন সুমন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী।

সখীপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবু হানিফ আজাদ, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আয়নাল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারুক হোসেন লিপু।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সজীব সরকার রতন।

মদন পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম হান্নান। বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হান্নান শামীম, আওয়ামী লীগ কর্মী রুহুল আমীন, স্বতন্ত্র বর্তমান পৌরসভার মেয়র দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন শফিক এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য মাশফিকুর রহমান বাচ্চু।

কেন্দুয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুল হক ভূইয়া। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী অ্যাডভোকেট আল মামুন কোকিল, বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, জেলার মোহনগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ও মোহনগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, বিএনপির শেখ মাহাবুবুন্নবী এবং জেলার দুর্গাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. আবদুস সালাম, বিএনপির জামাল উদ্দিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ সদর আ’লীগ প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ পারভেজ, বিএনপির জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম।
কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পৌর আ’লীগের সদস্য শওকত ওসমান শুক্কুর আলী, আ’লীগ বিদ্রোহী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য তানবিরুল হক রাহাত এবং পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ।

করিমগঞ্জ: আওয়ামী লীগের পৌর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুন, বিএনপির উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাজী আশরাফ হোসেন পাভেল, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাজী আবদুল কাইয়ুম।

বাজিতপুর: আওয়ামী লীগের উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন আশরাফ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শওকত আকবর এবং বিএনপির প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি বর্তমান মেয়র এহসান কুফিয়া।
হোসেনপুর: আ’লীগের প্রার্থী জেলা আ’লীগের সদস্য আবদুল কাইয়ুম খোকন, আ’লীগের বিদ্রোহী যুবলীগ সদস্য রাউতুল কেনেডি ও আ’লীগ সদস্য সৈয়দ হোসেন আমু এবং বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, বিএনপির বিদ্রোহী বিএনপির সমর্থক আনোয়ার আলী মৃধা রতন।

শেরপুর: শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, বিদ্রোহী বর্তমান মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির রুমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপি মনোনীত আবদুর রাজ্জাক আশীষ।

নালিতাবাড়ী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম উকিল। বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন, বিদ্রোহী সাবেক বিএনপি নেতা শামসুল আলম সওদাগর।
শ্রীবরদী পৌর সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আবু সাইদ, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রফেসর ডা. ওয়ালিউজ্জামান আশরাফি লতা, অ্যাডভোকেট শাহীদুল্লাহ শাহী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবদুল হাকিম, বিদ্রোহী জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আবু রায়হান আল বিরুনী।
নকলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. হাফিজুর রহমান লিটন ও বিএনপি মনোনীত মো. মোকলেছুর রহমান তারা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম, মো. আবদুর রাজ্জাক আকন্দ, নূরে আলম সিদ্দিকী, মো. আনোয়ার হোসেন আনার ও মো. আমির উদ্দিন।
জামালপুর: জামালপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, বিএনপি মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন।

ইসলামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের শেখ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক খলিলুর রহমান ও সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী মরহুম রাশেদ মোশারফের ছেলে সাবেক পৌর মেয়র সাজেদ মোশারফ সেবক। বিএনপির একক প্রার্থী রেজাউল করিম ঢালি।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহনেওয়াজ শাহান শাহ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বতর্মান মেয়র শেখ নূরুন্নবী অপু। বিএনপি একক প্রার্থী এ কে এম মুসা।

সরিষাবাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রুকনুজ্জামান রুকন। বিএনপির প্রার্থী বতর্মান মেয়র ফয়জুল কবীর তালুকদার শাহীন, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী তৃণমূল বিএনপি নেতা রহুল আমিন সেলিম ও সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভিপি শহীদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম কালা হাজী ও অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ফরিদপুর ব্যুরো জানায়, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শাহজাহান মীরদাহ পিকুল এবং মোজাফফর হোসেন বাবলু মিয়া, মনিরুজ্জামান মৃধা লিটন ও নাসিমুজ্জামান খান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আ. শুকুর শেখ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। এ ছাড়া বোয়ালমারী পৌর জামায়াতের আমির সৈয়দ নেয়ামুল হাসান মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নগরকান্দা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রায়হান উদ্দিন মিয়া, বিদ্রোহী মুরাদ হোসেন বিকুল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুর রহমান মুকুল, বিদ্রোহী বিল্লাল হোসেন মোল্লা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী লিয়াকত আলী লেকু, বিদ্রোহী মো. রেজাউল হক সিকদার রাজু, মুশফিকুর রহমান লিটন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ আহম্মেদ আলী মীর্জা, বিদ্রোহী প্রার্থী ফোরকান বিশ্বাস মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মাদারীপুর সদরে মেয়র পদে আওয়ীমী লীগের প্রার্থী হিসেবে খালিদ হোসেন ইয়াদ, বিএনপির মিজানুর রহমান মুরাদ, জাতীয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম স্বপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেলোয়ার হোসেন খোকন শরীফ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কালকিনিতে আওয়ামী লীগের এনায়েত হোসেন হাওলাদার, বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই, স্বতন্ত্র পদে মশিউর রহমান সবুজ, লোকমান হোসেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের লুৎফর রহমান এই পাঁচজন মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শিবচর পৌরসভা:  শিবচরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন খান, বিএনপি প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর কামাল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন খান তোতা ও আবির গোমস্তা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদরে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মহম্মদ আলী চৌধুরী, বিএনপির অর্ণব নেওয়াজ মাহমুদ, জাতীয় পার্টির শুকুর চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
শরীয়তপুর জেলার শরীয়তপুর সদরে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমেদ তালুকদার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু, জাসদ মনোনীত আমির হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আয়াত আলীও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জাজিরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ইউনুস বেপারী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আক্কাস মুন্সী, বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের ফকির, সদস্য খোকন তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, আলাউদ্দিন ফকির, আবুল বাসার খান, মো. আনিসুর রহমান, জুলহাস কবিরাজ। এ ছাড়া বিএনপির ইকবাল শিকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সেকেন্দার ফকির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বর্তমান মেয়র হায়দার আলী, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে শহিদুল ইসলাম বাবু, শিরাজুল ইসলাম চুন্নু, মো. জাকির হোসেন বেপারী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ আলী বেপারী, মো. শহিদুজ্জামান ও মো. মোসলেহ উদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে রেজাউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত সামসুদ্দিন মোল্লা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঢাকা জেলা :ধামরাই:  ঢাকার ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম কবির, বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল সাত্তার ও সাবেক ভিপি হাবিবুর রহমান।
সাভার :সাভারে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ থেকে হাজী আবদুল গণি, বিএনপি থেকে বদিউজ্জামান বদি, জাতীয় পার্টি থেকে আজিজুর রহমান, সিপিবি থেকে আজম খান বাবু, ন্যাপ থেকে মফিজুর রহমান মফিজ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মোশারফ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সালাহউদ্দিন খান।

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর পৌরসভায় ৬ মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে হাজি মো. ফয়সাল বিপ্লব, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম, যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান, ইসলামী খেলাফত প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জালালউদ্দিন রুমি রাজন। এ পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র একেএম ইরাদত মানু বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মিরকাদিম :মিরকাদিম পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মো. শহীদুল ইসলাম শাহীন, বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সামছুর রহমান, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মনসুর আহমেদ কালাম, জাতীয় পার্টি (জেপি) মো. হোসেন রেণু, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল গফুর মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা: মানিকগঞ্জ সদর :এ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. রমজান আলী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাসিরউদ্দিন আহমেদ যাদু, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দু’জন হচ্ছেন গাজী কামরুল হুদা সেলিম ও বাবুল সরকার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা:  সোনারগাঁ সদর :সোনারগাঁ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, বিএনপি প্রার্থী মোশারফ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান, সাবেক মেয়র সাইদুর রহমান মোল্লা ও অ্যাডভোকেট একেএম জাহিদুল আজাদ নজরুল। এ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ২৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তারাব: রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার মেয়র পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের হাসিনা গাজী, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
নরসিংদী জেলা:  নরসিংদী সদর :নরসিংদী পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, নাগরিক কমিটির ব্যানারে এস.এম কাইয়ুম, জাতীয় পার্টি-জেপির সাদেকুর রহমান, বিএনপির মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারজানা আক্তার, স্বতন্ত্র সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া এ পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে মোট ৪৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মাধবদী: মাধবদী পৌরসভার মেয়র পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- বিএনপি প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাজি মো. ইলিয়াছ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন প্রধান মানিক, ইসলামী আন্দোলনের মো. হারুন মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বাতেন শাহিন।
মনোহরদী: মনোহরদী পৌরসভার মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আমিনুর রশিদ সুজন, বিএনপির মো. মাহমুদুল হক, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের আবদুল মান্নান এবং স্বতন্ত্র শাহারিয়ার কবির, সাবেক মেয়র আবদুল খালেক ও আমজাদ হোসেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ:
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, এই বিভাগের ৩৭ পৌরসভায় মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোহাম্মদ তাকজিল খলিফা কাজল (আ’লীগ), মোহাম্মদ মন্তাজ মিয়া (বিএনপি), জয়নাল আবেদীন (বিএনপি বিদ্রোহী), শেখ বোরহান উদ্দিন (আ’লীগ বিদ্রোহী), সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল (স্বতন্ত্র), সালাউদ্দিন আল হোসাইনি চৌধুরী (স্বতন্ত্র) ও অ্যাডভোকেট সোহেল ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র)। কুমিল্লার চান্দিনায় মফিজুল ইসলাম (আ’লীগ), শাহ আলমগীর খান (বিএনপি), জয়নাল আবেদীন (আ’লীগ বিদ্রোহী), আবদুল মান্নান সরকার (আ’লীগ বিদ্রোহী) ও আবুল কালাম আজাদ (জাতীয় পার্টি)। লাকসামে অধ্যাপক আবুল খায়ের (আ’লীগ), শাহনাজ আক্তার (বিএনপি), মোখলেসুর রহমান (জাতীয় পার্টি), গোলাম ফারুক (স্বতন্ত্র) ও নুরুল ইসলাম মেইকার (ইসলামী আন্দোলন)। দাউদকান্দিতে নাঈম ইউসুফ শেইন (আ’লীগ), এমআই খলিল (বিএনপি), আবদুস সাত্তার (আ’লীগ বিদ্রোহী), শাহজাহান খন্দকার (আ’লীগ বিদ্রোহী), অহিদুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), জালাল উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন) ও নুরুল আমিন সরকার (স্বতন্ত্র)। চৌদ্দগ্রামে মিজানুর রহমান (আ’লীগ), নয়ন বাঙ্গালী (বিএনপি), ইমাম হোসেন পাটোয়ারী (আ’লীগ বিদ্রোহী), খোরশেদ আলম (জাতীয় পার্টি) ও মো. শাহাবুদ্দিন (জামায়াত-স্বতন্ত্র)। হোমনায় অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (আ’লীগ), আবদুল লতিফ (বিএনপি), হানিফ মিয়া (বিএনপি বিদ্রোহী), আলমগীর হোসেন (বিএনপি বিদ্রোহী), ইসমাইল হোসেন (জাতীয় পার্টি), জহিরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), খোদেজা বেগম (স্বতন্ত্র) ও আবদুল হাকিম (ইসলামী আন্দোলন)। বরুড়ায় বাহাদুজ্জামান (আ’লীগ), জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী (বিএনপি), এমএ ওয়াদুদ মিয়াজী (জাতীয় পার্টি), কবির হোসেন প্রধান (ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল কালাম আজাদ (তরীকত ফেডারেশন), অজিত কুমার দত্ত (জাসদ-ইনু), কাজী নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও আরিফ হোসেন ভূঁইয়া শিশির (স্বতন্ত্র)।
আরও যারা মনোনয়ন দাখিল করেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মাহবুবুল আলম লিপন (আ’লীগ), আবদুল মান্নান খান বাচ্চু (বিএনপি), হেলাল উদ্দিন মজুমদার (বিএনপি বিদ্রোহী), অ্যাডভোকেট সেলিম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), শাহজাহান মিয়াজী (ইসলামী আন্দোলন), শাহবুদ্দিন শাহিন (স্বতন্ত্র) ও ওমর ফারুক চৌধুরী (স্বতন্ত্র)। ফরিদগঞ্জে মাহফুজুল হক (আ’লীগ), হারুনুর রশিদ পাটোয়ারী (বিএনপি), আবুল খায়ের পাটোয়ারী (আ’লীগ বিদ্রোহী), মঞ্জিল হোসেন মঞ্জিল (বর্তমান মেয়র, স্বতন্ত্র), শফিউল ইসলাম পাটোয়ারী (জাপা), মাওলানা দেলোয়ার হোসেন (ইসলামী আন্দোলন) ও ইমাম হোসেন (স্বতন্ত্র)। ছেঙ্গাচরে রফিকুল আলম জজ (আ’লীগ) ও সরওয়ার আবেদীন খোকন (বিএনপি)। মতলবে আওলাদ হোসেন লিটন (আ’লীগ), এনামুল হক বাদল (বিএনপি), আল আমিন ফরাজি (আ’লীগ বিদ্রোহী) ও মাসুদ মিয়াজী (ইসলামী আন্দোলন)।
কচুয়া:  নাজমুল আলম স্বপন (আ’লীগ), হুমায়ুন কবির প্রধান (বিএনপি), আহসান হাবীব প্রাঞ্জল (বিদ্রোহী আ’লীগ), শফিকুল ইসলাম রুবেল (বিএনপি বিদ্রোহী), ইকবাল আজিজ শাহিন (স্বতন্ত্র) ও গাজী শাহীন (স্বতন্ত্র) । ফেনীর দাগনভূঞায় ওমর ফারুক খান (আ’লীগ) ও কাজী সাইফুর রহমান স্বপন (বিএনপি)।
চট্টগ্রামের মিরসরাই:  গিয়াস উদ্দিন (আ’লীগ), রফিকুল ইসলাম পারভেজ (বিএনপি), এরশাদ উল্লাহ (জাতীয় পার্টি), মোজাহের হোসেন চৌধুরী সোহেল (স্বতন্ত্র), আরিফ মাঈনুদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন)। বারোয়ারহাট নিজাম উদ্দিন (আ’লীগ), মাইনুদ্দিন লিটন (বিএনপি), রেজাউল করিম খোকন (আ’লীগ বিদ্রোহী) ও ফজলুল করিম (আ’লীগ বিদ্রোহী)।
সীতাকুণ্ড : বদিউল আলম (আ’লীগ), মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনছুর (বিএনপি), নায়েক (অব.) শফিউল আলম (আ’লীগ বিদ্রোহী), সিরাজ উদ দৌলা ছুট্ট (আ’লীগ বিদ্রোহী), নুরুন নবী ভূঁইয়া (জাতীয় পার্টি) ও তৌহিদুল হক চৌধুরী (জামায়াত-স্বতন্ত্র)।
রাউজান : দেবাশীষ পালিত (আ’লীগ), কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান (বিএনপি), আনোয়ারুল ইসলাম (আ’লীগ বিদ্রোহী), স্বপন দাশগুপ্ত (স্বতন্ত্র), সাইদুল ইসলাম চৌধুরী রানা (স্বতন্ত্র) ও মনছুর আলম (স্বতন্ত্র)। রাঙ্গুনিয়া : শাহজাহান সিকদার (আ’লীগ), হেলাল উদ্দিন (বিএনপি) কামরুল ইসলাম চৌধুরী (আ’লীগ বিদ্রোহী), নুরুল আমিন (বিএনপি বিদ্রোহী), আবদুর রহমান জামী (ইসলামী ফ্রন্ট), ইমাম হোসেন (আ’লীগ বিদ্রোহী), মোজাম্মেল হক (স্বতন্ত্র) ও মফিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।
পটিয়া : অধ্যাপক হারুন অর রশিদ (আ’লীগ), তৌহিদুল আলম (বিএনপি), শামসুল আলম মাস্টার (জাতীয় পার্টি), আবু তাহের মুজাহিদী (ইসলামী ফ্রন্ট) ও মো. ইব্রাহিম (বিএনপি বিদ্রোহী)। বাঁশখালী : শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী (আ’লীগ), মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম হোসাইনী (বিএনপি), ইব্রাহিম আল হোছাইন (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইছমাইল (জামায়াত-স্বতন্ত্র) ও মাওলানা মনসুরুল হক (ইসলামী আন্দোলন)। সন্দ্বীপ : জাফরুল্লাহ টিটু (আ’লীগ) ও আজমত আলী বাহাদুর (বিএনপি)।চন্দনাইশ : মাহাবুবুল আলম খোকা (আ’লীগ), আইয়ুব কুতুবী (এলডিপি), আবদুল হাকিম (ইসলামী ফ্রন্ট) ও জসিম উদ্দিন (স্বতন্ত্র)। সাতকানিয়া : মোহাম্মদ জোবায়ের (আ’লীগ), রফিকুল আলম (বিএনপি) ও মো. ইউচুপ (জাতীয় পার্টি)।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা:  মোহাম্মদ শামসুল হক (আ’লীগ), বাদশা মিয়া (বিএনপি), আলী আশরাফ (ইসলামী আন্দোলন)। খাগড়াছড়ি সদর : মোহাম্মদ শানে আলম (আ’লীগ), অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু (বিএনপি), ইসহাক (জাতীয় পার্টি), রফিকুল আলম (স্বতন্ত্র), ধীমান খীসা (স্বতন্ত্র), অ্যাডভোকেট সমারি চাকমা (স্বতন্ত্র), কিরণ মারমা (স্বতন্ত্র) এবং দীপায়ন চাকমা (স্বতন্ত্র)। রাঙামাটি সদর : আকবর হোসেন চৌধুরী (আ’লীগ), সাইফুল ইসলাম ভুট্টো (বিএনপি), রবিউল আলম রবি (বিএনপি বিদ্রোহী), ডা. গঙ্গামানিক চাকমা (জেএসএস সন্তু লারমা), হাবিবুর রহমান হাবিব (আ’লীগ বিদ্রোহী), অমর কুমার দে (আ’লীগ বিদ্রোহী), মজিবুর রহমান দিপু (আ’লীগ বিদ্রোহী) ও শিবু প্রসাদ মিশ্র (জাতীয় পার্টি)। বান্দরবানের লামা : জহিরুল ইসলাম (আ’লীগ), আমির হোসেন (বিএনপি) ও ফরিদ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি) এবং বান্দরবান সদর : ইসলাম বেবি (আ’লীগ), মোহাম্মদ জাবেদ রেজা (বিএনপি) ও মিজানুর রহমান বিপল্গব (জাতীয় পার্টি)।
বরিশাল বিভাগ:
বরিশাল ব্যুরো জানায়, এই বিভাগের ১৭টি পৌরসভায় মেয়র পদে ৭৫ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আটটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ১১ এবং বিএনপির ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে বরিশাল জেলার মুলাদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকউজ্জামান রুবেলের বিরুদ্ধে দিদারুল আহসান খান, দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার ও এমএ আজিজ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এখানে অবশ্য বিএনপির আসাদ মাহমুদ একক প্রার্থী। এ ছাড়া সেলিম আহম্মেদ চৌকিদার (ওয়ার্কার্স পার্টি) ও মাওলানা নুরুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা। আর বিএনপির গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাস্টারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ আলম মিয়া। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির মন্টুলাল কুন্ডু ও ইসলামী আন্দোলনের জালিশ মাহমুদ মৃধা এখানে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
ভোলা সদরে আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনির একক প্রার্থী হলেও বিএনপির হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন খন্দকার আল আমিন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের আতাউর রহমানও এখানে প্রার্থী হয়েছেন। দৌলতখানে বিএনপি থেকে আনোয়ার হোসেন কাকন একক প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে মো. আলমগীর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। পিরোজপুর সদরে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মালেকের বিরুদ্ধে আক্তারুজ্জামান মানিক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এখানে বিএনপির একক প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক মুনান।
বরগুনা সদরে আওয়ামী লীগের কামরুল আহসান মহারাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন শাহাদাত হোসেন, শাহজাহান মিয়া ও হুমায়ুন কবির। এখানে বিএনপির এসএম নজরুল ইসলাম একক প্রার্থী। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির এমএ জলিল ও এনডিপির মাহবুবুর রহমান নান্নু মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বেতাগীতে প্রথমে বর্তমান মেয়র আলতাফ হোসেন বিশ্বাস আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও মনোনয়নবঞ্চিত এবিএম গোলাম কবিরের সমর্থকরা হরতাল পালনসহ ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। বুধবার রাতে কেন্দ্র থেকে প্রার্থী বদল করে এবিএম গোলাম কবিরকে মনোনয়ন দেওয়ার পর গতকাল তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তবে আলতাফ হোসেন বিশ্বাস বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এখানে বিএনপির হুমায়ুন কবির মলি্লকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন কামরুজ্জামান মিলন। আরও প্রার্থী হয়েছেন নাসির উদ্দিন পিযুষ (জাতীয় পার্টি), আবদুল ওয়াজেদ হাওলাদার (স্বতন্ত্র), মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) ও জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র)।
মেয়র পদে বরিশালের গৌরনদীতে হারিছুর রহমান হারিছ (আওয়ামী লীগ), শরীফ সফিকুর রহমান স্বপন (বিএনপি), ওবায়দুল হক মিয়া (ইসলামী আন্দোলন) ও তুহিন ফকির (এনপিপি); মেহেন্দীগঞ্জে কামাল উদ্দিন খান (আওয়ামী লীগ), গিয়াস উদ্দিন দীপেন (বিএনপি), ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন গাজী (ইসলামী আন্দোলন); বাকেরগঞ্জে মতিউর রহমান মোল্লা (বিএনপি), লোকমান হোসেন ডাকুয়া (আওয়ামী লীগ), হেমায়েত হোসেন (ইসলামী আন্দোলন) ও মাহবুবুর রহমান মন্টু (এনপিপি) এবং উজিরপুরে গিয়াস উদ্দিন বেপারী (আওয়ামী লীগ), শহীদুল ইসলাম খান (বিএনপি), মাওলানা আবদুল মান্নান হাওলাদার (ইসলামী আন্দোলন) ও মনিরুজ্জামান (এনপিপি) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সিলেট বিভাগ:
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট বিভাগের ১৬টি পৌরসভায় মেয়র পদে ৮৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৯টি পৗরসভায় আওয়ামী লীগের ১১ এবং বিএনপির ৬ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নিজাম উদ্দিন আল মিজান ও সিরাজুল ইসলাম খোকন। এ ছাড়া বিএনপির রহিম উদ্দিন ভরসা, জামায়াতের একেএম ওলিউল্লাহ (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির বাবুল আহমদ, জাসদের তাজ উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, সুহেল আমীন (স্বতন্ত্র) ও সুলতান আহমদ (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জকিগঞ্জে আওয়ামী লীগের খলিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফারুক আহমদ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির আবদুল মালেক ফারুক, বিএনপির বদরুল হক বাদল, খেলাফত মজলিসের জাফরুল ইসলাম ও কাজী হিফজুর রহমান (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের জাকারিয়া আহমদ পাপলুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল জব্বার চৌধুরী ও আমিনুল ইসলাম রাবেল। এ ছাড়া বিএনপির গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন, খেলাফত মজলিসের আমিনুল ইসলাম আমিন, জাতীয় পার্টির সুহেদ আহমদ ও আমিনুর রহমান লিপন (স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগের আবুল কালামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আবদুল ওয়াহিদ মজনু। বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হয়েছেন শামছুর রহমান সামছু। হবিগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান সেলিমের বিরুদ্ধে মিজানুর রহমান মিজান বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এখানে বিএনপির জিকে গউছের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আমিনুর রশিদ এমরান ও ইসলাম তরফদার তনু। এ ছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের আবদুল কাইয়ুম ও জাতীয় পার্টির আবু নাঈম মোহাম্মদ শিবলী খায়ের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আওয়ামী লীগের তারেক মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আতাউর রহমান মাসুক। বিএনপির এমএফ আহমেদ অলির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন আবদুল মজিদ। আরও প্রার্থী হয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির খালেদা বেগম, জালাল উদ্দিন রুমি (স্বতন্ত্র) ও রকিব আহমদ (স্বতন্ত্র)। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের একেএম শফি আহমদ সলমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন শফি আলম ইউনুছ। এ ছাড়া বিএনপির কামাল আহমদ জুনেদ ও জাতীয় পার্টির মুহিবুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বড়লেখায় আওয়ামী লীগের আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাজি আবদুন নুর ও রায়না বেগম বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আর বিএনপির আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন মতিউর রহমান ইরাজ। এখানে জাতীয় পার্টির মীর মুজিবুর রহমান ও জামায়াতের খিজির আহমদ (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের আয়ুব বখ্ত জগলুল, বিএনপির অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ ও দেওয়ান গণিউল সালাদীন (স্বতন্ত্র); জগন্নাথপুরে আওয়ামী লীগের আবদুল মনাফ, বিএনপির রাজু আহমদ ও শাহ্ নুরুল করিম (স্বতন্ত্র); দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের মোশারফ মিয়া, বিএনপির মঈনুদ্দিন চৌধুরী মাসুক ও জাসদের মোজাম্মেল হক; এবং মৌলভীবাজার সদরে আওয়ামী লীগের ফজলুর রহমান, বিএনপির অলিউর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সৌমিত্র দেব, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা কামাল, খেলাফত মজলিসের সৈয়দ মোজাদ্দিদ আলী ও এনপিপির সৈয়দ সুজাত আলী মেয়র পদে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রংপুর বিভাগ:
রংপুর অফিস জানায়, রংপুর বিভাগের ২০টি পৌরসভা নির্বাচনে ১২৬ জন মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ১০টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ১৩ এবং বিএনপির ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
দিনাজপুরের বিরামপুরে আওয়ামী লীগের আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন লিয়াকত হোসেন টুটুল। বিএনপির আজাদুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া এনামুল হক (স্বতন্ত্র, জামায়াত) ও শাহীনুর রহমান (স্বতন্ত্র) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম ও মকসেদ আলী মিয়া। বিএনপির আমিরুল বাহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আসাদুল ইসলাম দুলাল। এখানে জাতীয় পার্টির দেলোয়ার হোসেন আবু, মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ (স্বতন্ত্র, জামায়াত) ও জাপার বিদ্রোহী রশিদুল আলম প্রার্থী হয়েছেন।
লালমনিরহাট সদরে আওয়ামী লীগের রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুর বিরুদ্ধে এমএম ওয়াহেদুল হাসান সেনা ও একেএম হুমায়ুন আক্তার শিমুল বিদ্রোহ করেছেন। বিএনপির আবদুল হালিম, ইসলামী আন্দোলনের আমিনুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টি-জেপির আবদুর রশিদ এখানে মনোয়ন জমা দিয়েছেন। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগের শমসের আলীর বিরুদ্ধে ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির একেএম মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল ও জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ বেঞ্জু এখানে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। নীলফামারীর জলঢাকায় আওয়ামী লীগের আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুরের বিরুদ্ধে বর্তমান মেয়র ইলিয়াছ হোসেন বাবলু বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী, জাতীয় পার্টির শাহ আবদুল কাদের বুলু চৌধুরী, জাসদের অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মফিকুল ইসলাম ও জামায়াতের স্বতন্ত্র হিসেবে মকবুল হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।
সৈয়দপুর সদরে আওয়ামী লীগের সাখাওয়াত হোসেন খোকন একক প্রার্থী হলেও বিএনপির আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকার। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির জয়নাল আবেদীন, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী জাকির হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের নুরুল হুদা ও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আবদুল মোত্তাকিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
একইভাবে কুড়িগ্রাম সদরে আওয়ামী লীগের আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন কাজীউল ইসলাম ও সাইদুল হাসান দুলাল। এখানে অন্য দুই মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির নুর ইসলাম নুরু ও ইসলামী আন্দোলনের বেলাল হোসেন। ঠাকুরগাঁও সদরে আওয়ামী লীগের তাহমিনা আক্তার মোল্লার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এসএম সোলায়মান আলী। বিএনপির মির্জা ফয়সল আমিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েছেন গোলাম সারোয়ার রঞ্জু চৌধুরী। এ ছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন মাহফুজুল ইসলাম ও আবদুল হাকিম জিহাদী।
রানীশংকৈলে আওয়ামী লীগের আলমগীর সর্দারের বিরুদ্ধে ইফতেখার আলী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আরও মনোনয়ন দাখিল করেছেন বিএনপির প্রভাষক শাহজাহান আলী, জাতীয় পার্টির সামসুল আরেফিন ও মোশারফ হোসেন।
দিনাজপুর সদরে আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম, বিএনপির সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পার্টির আবদুল মোতালেব, স্বতন্ত্রের আলতাফ উদ্দিন ও ফয়সল হাবিব সুমন; ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলী সরকার পুতু, বিএনপির শাহাদৎ আলী শাহাজুল, জাতীয় পার্টির জামিল উদ্দিন, স্বতন্ত্রের মুর্তুজা সরকার মানিক, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, জয়নাল আবেদিন, এসএম নুরুজ্জামান, খাজা মঈনুদ্দিন, আল আমিন ও এমএ কাইয়ুম সরকার; পঞ্চগড় সদরে আওয়ামী লীগের জাকিয়া খাতুন, বিএনপির তৌহিদুল ইসলাম, জাসদের আবদুল মজিদ বাবলু ও জামায়াতের স্বতন্ত্র আবদুল খালেক মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া গাইবান্ধা সদরে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, বিএনপির শহীদুজ্জামান শহীদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র শামছুল আলম, আনোয়ার-উল-সারওয়ার সাহিব, হাজি মির্জা হাসান, একেএম ফেরদৌস আলম ফিরোজ, সর্দার রোকনুজ্জামান পলাশ ও আরিফুল ইসলাম শাহীন; সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান সরকার, বিএনপির আজাদুল করিম প্রামাণিক নিপু, জাতীয় পার্টি-জেপির মশিউর রহমান, জাসদের শাহাদাৎ হোসেন সবুজ, স্বতন্ত্রের দেবাশীষ কুমার সাহা, শাহীন আহম্মেদ সবুজ, এটিএম মাসুদ-উল-ইসলাম চঞ্চল ও লুৎফর রহমান মুক্তা এবং রংপুরের পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কচিরুল ইসলাম, বিএনপির রাজিউর রহমান রাজু, জাতীয় পার্টির গোলাম হোসেন, স্বতন্ত্র থেকে নজরুল ইসলাম ও আলমগীর কবীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
খুলনা বিভাগ:
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা বিভাগের ২৯টি পৌরসভায় মেয়র পদে মোট ১৩০ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখানেও কয়েকটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে খুলনার চালনায় মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের সনৎ কুমার বিশ্বাস, বিএনপির শেখ আবদুল মান্নান এবং বর্তমান মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত কুমার বিশ্বাস। পাইকগাছায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন শেখ কামরুল ইসলাম টিপু ও শেখ আনিসুর রহমান মুক্ত। এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত জি এম আবদুস সাত্তার এবং স্বতন্ত্র আবদুল মজিদ মেয়র প্রার্থী হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদরে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সাহাদাৎ হোসেন, বিএনপি মনোনীত তাসকীন আহমেদ চিশতী, জাতীয় পার্টির শেখ আজহার হোসেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন শেখ নূরুল হুদা ও স্বতন্ত্র নাছিম খান মিঠু।
বাগেরহাট সদরে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান, বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট এ কে এম আবদুল হাই, জাতীয় পার্টি মনোনীত মির্জা আলী হাসান এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনা হাসিবুল হাসান শিপন।
নড়াইল সদরে আওয়ামী লীগ মনোনীত জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, বিএনপি মনোনীত জুলফিকার আলী মন্ডল, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, জাসদের সৈয়দ আরিফুল ইসলাম পান্থ, ওয়ার্কার্স পার্টির পারভেজ আলম, স্বতন্ত্র আনোয়ার হোসেন খান। নড়াইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী। তারা হলেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আঞ্জুমান আরা, সাবেক পৌর মেয়র ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান।
কুষ্টিয়া সদরে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ার আলী, বিএনপি মনোনীত কুতুব উদ্দিন, জাতীয় পার্টির কেএম জাহিদ, জাসদ মনোনীত গোলাম মহসিন, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত দেওয়ান আবদুল খালেক, বিএনপির বিদ্রোহী বশিরুল আলম চাঁদ ও অ্যাডভোকেট শামীমউল হাসান অপু। খোকসায় মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের তারিকুল ইসলাম তারিক, বিএনপির রাজু আহম্মেদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আল মামুন মোর্শেদ শান্ত ও আলাউদ্দিন পিন্টু (আওয়ামী লীগ)। বিএনপির বিদ্রোহী আনিসুজ্জামান আনিস। ভেড়ামারায় মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শামীমুল ইসলাম ছানা, বিএনপি জোটের মহিউদ্দিন বানাত, জাসদের আবদুল আলীম স্বপন, বিএনপির বিদ্রোহী শামীম রেজা শামীম, স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ ও আজগর আলী।

মাগুরা সদরে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের খুরশিদ হায়দার টুটুল, বিএনপির ইকবাল আকতার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *