ঢাকা : ১২টি পণ্য নিষিদ্ধ তালিকায় রেখে তিন বছরের জন্য আমদানি নীতি আদেশ অনুমোদন করেছে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমদানি নীতি অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সই করলে আমদানি নীতি চূড়ান্ত হবে।’
নতুন আমদানি নীতিতে ১২টি পণ্য নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ তালিকায় আছে- বাংলাদেশ সার্ভে ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের সীমারেখা দেখানো হয়নি এমন মানচিত্র, ভীতি প্রদায়ক কৌতুক, অশ্লীল ও নাশকতামূলক প্রবন্ধ সম্বলিত সাহিত্য, পুস্তিকা, সংবাদপত্র, সাময়িকী, পোস্টার, ফটো, ফিল্ম, অডিও ভিডিও ক্যাসেট, টেপ। অফিস কাজে ব্যবহৃত পুরোনো ফটোকপিয়ার, টাইপরাইটার মেশিন, টেলেক্স, ফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী । শব্দ দূষণের নিয়ন্ত্রণে অনধিক ৭৫ ডেসিবল মাত্রার হর্ন ইত্যাদি।
নিয়ন্ত্রিত আমদানির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে চিংড়ি, পপি বীজ, পোস্তদানা, ঘাস, আফিম, পেট্রোলিয়াম কোক, ঘন চিনি, কৃত্রিম সরিষার তেল, মিথাইল, থ্রি হুইলার যানবাহনের ইঞ্জিন ও চেসিসসহ ইত্যাদি।
শর্তসাপেক্ষে দুগ্ধজাত খাদ্য আমদানি করা যাবে। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য ও শিশু খাদ্যের টিন বা মোড়কের উপর দৃশ্যমান স্থানে ‘মায়ের দুধের বিকল্প নেই’ কথাটি বাংলায় স্পষ্ট লেখা থাকতে হবে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো থেকে সরাসরি চাল, গম ও অন্যান্য খাদ্য শস্য আমদানির ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষার বিধিবিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিগত ৩ বছরের আমদানি নীতি আদেশ (২০১২-২০১৫) এর মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এর প্রায় ৫ মাস পর নতুন আমদানি নীতি ২০১৫-১৮ বুধবার অনুমোদন পেলো। এর আগে গত ১৯ আগস্ট একই কমিটিতে এ নীতি তোলা হলে তা অনুমোদন না করে কিছু নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি নতুন আমদানি নীতির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রপ্তানিশিল্পের প্রসার ও বিকাশের বিষয়টি মাথায় রেখে সীমিত সংরক্ষণ নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।