ঢাকা: গরমের তীব্রতা থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সময় মেলে শীত এলে। শীতের হিম হাওয়া মনকে করে উচাটন। ভ্রমণ পিপাসুরা ভালোলাগার এ সময়কে আরও বেশি উপভোগের করতে ছুটে যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পরিবেশে। তাইতো শীতের শুরু থেকে গরমের শুরু পর্যন্ত সেখানে চলে পর্যটকদের আনাগোনা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে অবগাহন করতে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। খুব সহজে দেশের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তর সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকেই ঘুরে আসতে পারেন। সমুদ্রের বিশাল নীল জলরাশি ছুঁয়ে আসা বাতাস আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে নিমিষে। সৈকতে চিকচিকে বালুর ওপর পড়ে থাকা নুড়ি কুড়াতে কুড়াতে কখন যে দিন পার করবেন তা টেরই পাবেন না। লোকালয় ভুলিয়ে আবিষ্কার করবেন নতুন আপনাকে। এরপর যদি রাতে থাকার মোনরম ব্যবস্থা থাকে তবে তো কথায় নেই।
কক্সবাজার শহর থেকে ১০ মিনিটের পথ পেরিয়ে বাঁকখালি নদীর কোল ঘেষে ‘পার্ম রিভেয়ারা’ রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে। পরিবেশ বান্ধব এই রিসোর্টের চারদিকে রয়েছে সারি সারি খেজুর গাছ, নারিকেল গাছ, পাম গাছসহ আরও নানান জাতের সবজির বাগান। এই শীতে বেড়াতে এসে নিজেই গাছ থেকে খেতে পারবেন টাটকা খেজুরের রস। শুধু তাই নয়- সবুজে বেষ্টিত রিসোর্টটিতে রয়েছে সুইমিং পুল আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সব কামরা। এখানে এসে নৌকাভ্রমণ, স্পীড বোট ভ্রমণ কিংবা মাছ ধরাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশের সব সুযোগ রয়েছে।
রিসোর্টের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওয়েলকাম ড্রিংকস থেকে শুরু করে সকাল-দুপুর-বিকাল ও রাতের খাবার ব্যবস্থা। খোলা আকাশের নীচে রাতে বার-বি-কিউ, মিউজিক ও রিফ্রেশমেন্ট ড্রিংকসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পরিবেশনকৃত সব খাবারই নিজস্ব ফার্ম থেকে উৎপাদিত আর শতভাগ অর্গানিকের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে।
কর্তৃপক্ষের পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই রিসোর্টটিতে একসঙ্গে ১২ (বারজন) থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পুরোটা বুকিং করলে বাসস্ট্যান্ড অথবা এয়ারপোর্ট থেকে নিজস্ব পরিবহনে আনা-নেয়া করবে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় সমুদ্র সৈকতে যাওয়া-আসার সময়ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ পরিবহনের সুবিধা দিবে। এক্ষেত্রে ভ্রমণার্থীর বাড়তি কোনো টাকা গুনতে হবে না। আকর্ষণীয় এ অফার পেতে যোগাযোগ করতে পারেন- ফোন: ০১৯৭৫-০৮০৪০৪, ফেসবুক: facebook.com/palmriviera