পোশাক, খাবার থেকে শুরু করে ‘গোপন কথাটি’ও। ভিক্টোরিয়া এবং আমান্ডা হেপারলে বড় হয়েছেন সব কিছু ভাগাভাগি করে। যা আমার, তা ওর মন্ত্রে তাদের বড় করেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু এই ২৭ বছরে পৌঁছে দুই যমজ বোন এমন কা- ঘটাবেন, কে জানতো? আপতত বয়ফ্রেন্ড শেয়ার করেছেন তারা। একই পুরুষকে ভালবেসে তার শয্যাসঙ্গী হয়েছেন দুই বোন। আরও অদ্ভুত ব্যাপার, এরপরেও দু’জনই বলছেন, ইয়ানের (বয়ফ্রেন্ড) সঙ্গে বোনকে কী সুন্দর মানায়!
ইয়ান অবশ্য বলছেন, যমজ বোনকে একসঙ্গে সামলানো সহজ নয়। তার কথায়, অনেকেই বলেন, আমি নাকি পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান পুরুষ। কিন্তু এ-ও ঠিক, দুই যমজ বোনকে সামলে রাখা মুখের কথা নয়। অনেক ঝামেলা রয়েছে।
ভিক্টোরিয়া এবং আমান্ডা কিন্তু সমস্বরে বলছেন, কোথায় ঝামেলা! কিসের ঝামেলা? ভিক্টোরিয়ার সোজা কথা, আমরা তিনজন একসঙ্গেই থাকতে চাই। এতে সমস্যার কী আছে? ইয়ানকে নিয়ে আমাদের দু’বোনের কোনও সমস্যা নেই। কে ওর সঙ্গে রাত কাটাবে, সেটা নিজেরাই ঠিক করে নিই।
বয়ফ্রেন্ড ভাগাভাগির নেপথ্যেও রয়েছে দুই বোনের আবেগঘন সম্পর্কের কাহিনি। ২০১২ সালে আমান্ডার ব্রেক-আপ হয়ে যায়। ততদিনে ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে ডেটিং শুরু করেছেন ইয়ান। বোনকে ভেঙে পড়তে দেখে প্রথমে ইয়ানের কাছে তার পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যান আমান্ডা।
ইয়ানের প্রতিক্রিয়া কী ছিল। আমান্ডা বলছেন, ভিক্টোরিয়াকে ওভাবে কাঁদতে দেখে আমার পক্ষে স্থির থাকা সম্ভব ছিল না। মনে হয়েছিল, ওর গভীর ভালবাসা প্রয়োজন। ইয়ান খুব সংবেদনশীল ছেলে। ওকে গিয়ে বললাম, ভিক্টোরিয়াকে আমার মতো করেই ভালবাসতে।
তারপর? আমান্ডা বলে চলেন, ইয়ান প্রথমে অস্বস্তিতেই পড়েছিল। পরে ব্যাপারটা ধীরে ধীরে সামলে নেয়। আর ভিক্টোরিয়া মজা করে বলছেন, আমান্ডা আর ইয়ানকে দেখে খুব হিংসে হয়। একে তো ওদের সম্পর্ক কতটা মজবুত, তা আমার ব্যাপারটা থেকেই বোঝা যায়। তার উপর ইয়ান আমাকেও সমান ভালবাসে।
আর বিয়ে? উত্তর দিলেন ভিক্টোরিয়া— ইয়ানকে বিয়ের কথা বলেছি। তাকিয়ে আছি সেই দিনটার দিকে যে দিন ইয়ান আমাকে বিয়ে করবে। তার পরে ইয়ান আমান্ডাকেও বিয়ে করুক। তিনজনেই সুখে থাকতে চাই। একসঙ্গে।