ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি,মানি লন্ডারিং ও অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আতাউর রহমান এই দিন ধার্য করেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ।
অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পেছানোর আবেদন করেন। পরে আদালত তার এই আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহগণের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে আইনপরিপন্থী কাজ করেছেন। তিনি ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে (Lloyds TSB Offshore Private Bank) ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (হিসাব নম্বর- ১০৮৪৯২) জমা করেন, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৫ অক্টোবর ২৮ খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আতাউর রহমান।