সিরিয়ায় শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। জোরদার করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। উপকূলের দিকে সরিয়ে নিয়ে এসেছে মিসাইল ক্রুজার। মূল ঘাটিতে যোগ করেছে নতুন ক্ষেপনাস্ত্র। মস্কোভা ক্রুজারের দুরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ান বিমানগুলোতে নিরাপত্তা দেবে। বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়া হমেইমিম বিমান ঘাঁটিতে পৌছানো এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থাও একইভাবে নিরাপত্তা দেবে। তুরস্ক সীমান্ত থেকে ওই ঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। সিরীয় সীমান্তে তুরস্ক রাশিয়ান একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পর থেকেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দু’দেশের মধ্যে আক্রমনাত্মক বাকযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। দুপক্ষই একে অপরের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ায় তুর্কী ব্যবসায়ীদের ভিসা অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তারের খবর আসে কয়েকটি গণমাধ্যমে। তুরস্কের সঙ্গে ভিসা-বিহীন সফরের সুবিধা বাতিল করা হবে বলেও ঘোষণা দেয় রাশিয়া। এছাড়াও, ব্যাপক পরিসরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ওদিকে, তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ‘আগুন নিয়ে না খেলতে’ রাশিয়াকে হুশিয়ারি দিয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, এরদোগানের সঙ্গে কথা বলার আগে তিনি চান তুরস্কের তরফ থেকে ক্ষমা চাওয়া হবে। তুরস্কের বক্তব্য, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান তুরস্কের আকাশসীমায় ১৭ সেকেন্ডের জন্য প্রবেশ করেছিল। উড্ডয়নের পথ পরিবর্তন করতে বারবার বিমানটিকে সকর্তবার্তা দেয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিমানটি ভূপাতিত করা হয়। কিন্তু আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। সিনিয়র একজন রাশিয়ান কমান্ডার বলেছেন, মূলত তাদের যুদ্ধবিমানটিকে এক ঘণ্টা আগে থেকেই সেখানে টহল দেয়া তুরস্কের দুটি এফ-১৬ বিমান অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ান ও সিরিয়ান রাডার তথ্যে প্রমান রয়েছে যে, সিরীয় ভুখ-ের ২ কিলোমিটার ভেতর থেকে ক্ষেপনাস্ত্র ছোড়ে তুর্কী যুদ্ধবিমান। তুরস্ক অবশ্য এ বক্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া জানায় নি।