সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক কবে খুলে দেওয়া হবে তা সরকারের সুনির্দিষ্টভাবে বলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন লেখক-অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বিভিন্ন সময়ে নাগরিক অধিকারের পক্ষে আন্দোলনে নামা এই অধ্যাপক বলেন, “ফেইসবুক যদি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় তাহলে তা মেনে নিতে রাজি আছি। যদি সাময়িক না হয় তাহলে আমাদের সিরিয়াস আপত্তি আছে।
“তাই ফেইসবুক কবে খুলে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে সরকারকে সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কারভাবে বলতে হবে।”
ফেইসবুক খুলে দেওয়া প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে কম্পিউটার সায়েন্সের এই অধ্যাপক বলেন, “দেশে ফেইসবুকভিত্তিক অনেক কাজকর্ম হয়ে থাকে। অনেকে ব্যবসা করে, অনেক শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর কাজে এই মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন।
“কাজেই এটা যদি অনির্দিষ্টভাবে বন্ধ করা হয়ে থাকে তাহলে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হবে।”
ফেইসবুকের পাশাপাশি দেশে আরও কিছু সাইট বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে জাফর ইকবাল বলেন, “আমি তো এখন ড্রপবক্সও ব্যবহার করতে পারছি না। এটা বন্ধ করার কারণে আমি তো খুবই বিপদে পড়ে গেছি।”
বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’ বন্ধ করার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “চারটি অ্যাপস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন তা আমি জানি না।”
সর্বোচ্চ আদালতে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ার পর গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের কয়েকটি মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ বন্ধ করা হয়। এর চার দিনের মাথায় শীর্ষ পর্যায়ের এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের পর সপ্তাহ হতে চললেও ফেইসবুকসহ অন্য অ্যাপগুলো খোলেনি।
ফেইসবুকসহ এসব অ্যাপ বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে বলে মোবাইল ফোন অপারেটর ও আইআইজি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেছেন।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বন্ধ করার পর কবে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেওয়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত করেনি সরকার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বৃহস্পতিবার এক লেখায় ফেইসবুক বন্ধের কারণ ব্যাখ্যা করলেও তা খুলে দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি।