ঢাকা: প্রত্যেকটি শিশুর প্রথম বিদ্যায়াতন হল তার পরিবার। শিক্ষার ভিতও রচিত হয় সেখানে। তবে ভয়-ভীতি আর উপযুক্ত শিক্ষার অভাবে সন্তান বড় হলেও আত্মবিশ্বাসের ভিত থেকে যায় নড়বড়ে। যেসব মা-বাবা তার বাচ্চাকে ব্যথা পাওয়ার ভয়ে খেলতে দেন না, মারামারি করার ভয়ে কারো সঙ্গে মিশতে দেননা তারা অথর্ব চিত্তের হয়। কর্মজীবনে তাদেরকে হতে হয় দারুণ অসহায়। তাই মা-বাবা সচেতন হলে শিশু আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেই। আর তাই…
খেলার সুযোগ
শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই খেলার সুযোগ দিতে হবে। সে নিজের মাথা থেকে বের করবে নতুন খেলার কৌশল। সবার সঙ্গে মজা করে খেলার সুযোগ পেলে সন্তানের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে দ্বিগুন। খেলতে গিয়ে অন্য বাচ্চার সঙ্গে মারামারি বাধলেও নিজেকে মুক্ত করার বুদ্ধি বের করবে। এভাবে নিজেকে রক্ষার বুদ্ধি চর্চা হবে।
আবিষ্কারের অভ্যাস
ছেলেবেলায় নানা ধরণের উপকরণ হাতে তুলে দিন। সামান্য কিছু নির্দেশনা দিয়ে দিন। এবার সে আবিষ্কারে মন দেবে। হয়তো আলাদা কিছু একটা বানিয়ে ফেলতে পারে। ভালো হোক আর মন্দ হোক তার আবিষ্কারের বহুমুখিতা প্রকাশ পাবে। প্রশংসা পেলে বার বার একই কাজ করে বাচ্চা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।
আনন্দময় পড়া
শিশুর পড়ার পরিবেশকে আনন্দময় করে তুলতে হবে। স্কুলে খুব ভালো ফল করতে হবে – এর জন্য কোনো চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। চাপাচাপিতে শিশুদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হয়, যা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে সবচেয়ে বড় বাধা। তার পরীক্ষার ফলাফল আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন। শিশু আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেই।
চাপমুক্ত রাখা
দাম্পত্য কলহের চাপ বা অন্যান্য মানসিক চাপে থাকলে শিশুরা দুর্বল চিত্তে বড় হয়। মনের মধ্যে কোনো বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা আসে না। সব ব্যপারে ভয় কাজ করে। দ্বিধা এড়াতে পারে না কোনো বিষয়ে। তাই শিশুকে রাখতে হবে মানসিক চাপমুক্ত। মুক্ত মনে মুক্ত চিন্তার বসবাস শিশুকে করে তোলে আত্মবিশ্বাসী।
অযথা ভয় না দেখানো
শিশুকে কখনো মিথ্যা বিষয় নিয়ে ভয় দেখানো ঠিক নয়। এতে তার মধ্যে ছোটবেলা থেকে যেমন মিথ্যা চর্চার প্রবণতা বাড়বে, তেমনি জন্মাবে ভয়। নিজেকে লুকাতে চাইবে সবার কাছ থেকে। এভাবে বন্দী মনের বিকাশ ঘটে না। তাই শিশুকে অযথা কোনো কিছুর ভয় দেখানো কখনোই ঠিক নয়।