শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আলোচনায় এখন সরব সারাদেশ। আর এই আলোচনা দাগ কাটছে শিশু মনেও। মেহেরপুরে গাংনীতে এর দায় সারলো এক শিশু। গলায় রশি পড়ে ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে সাগর (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত সাগর আমতৈল গ্রামের দিনমজুর নুহু মিয়ার পালিত ছেলে এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুহু মিয়া ও রেহেনা খাতুন দম্পত্তির কোনো সন্তান না থাকায় ছয় বছর আগে সাগরকে দত্তক নেন তারা। সাগরের পিতা গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের হ্যাবল মিয়া স্ত্রী সন্তান ফেলে অন্যত্র চলে যান। মা গাংনীর একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন। সন্তান নিয়ে সমস্যায় পড়ায় তিনি নুহু মিয়ার কাছে ছেলেকে দত্তক দেন। সাগরকে নিয়ে নুহু মিয়া ও রেহেনা দম্পত্তির সুখেই চলছিল সংসার।
রোববার বিকেলে খেলছিল সাগর। রান্নাঘরে ছাগলের রশির সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে খেলা করছিল সে। কিন্তু এক পর্যায়ে সত্যি সত্যি গলায় ফাঁস আটকে যায়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে খেলার সময় অসাবধানতার কারণে সাগরের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।
এ বিষয়ে গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।