রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের। এরআগের সময় কেমন ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বহুল আলোচিত এই দুই চরিত্রের। রাত ৯টার পর পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রথমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্বজনেরা তার সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তিনি তাদের জানান, তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে কোন প্রাণ ভিক্ষা চাননি। পরিবারের এক সদস্য জানান, সাক্ষাতের সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বেশ কয়েকবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ওঠেন।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসলে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা যান দেখা করতে। এসময় মুজাহিদও প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেননি বলে জানান। পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন মুজাহিদ।
এদিকে, এনটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ কোনো বাধা দেননি। তাঁরা দোয়া পড়তে পড়তে ফাঁসির মঞ্চে ওঠেন। চারজন করে আটজন জল্লাদ দুজনকে ধরে মঞ্চে ওঠান। শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসি হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিসি) উপকমিশনার (ডিবি) নাজমুল হোসেন। নাজমুল হোসেন বলেন, প্রধান জল্লাদ শাহজাহান একযোগে দুজনের ফাঁসি কার্যকর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা জেলার ডিসি, একজন ইমাম, সিভিল সার্জন। ফাঁসির মঞ্চে ওঠানোর আগে দুজনকে তওবা পড়ার কথা বলেন ইমাম মনির হোসেন। সাকা চৌধুরী তওবা পড়লেও মুজাহিদ বলেন, ‘তওবা পড়তে হবে না। আমি দোয়া পড়েছি।’ এর আগে যম টুপি পরিয়ে কারাগারের নিজ নিজ কক্ষ থেকে বের করা হয় দুজনকে।