গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ‘আমার প্রিয় ও একমাত্র সন্তানকে হত্যা করার জন্য মি. পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন), বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বা ইউক্রেন সরকারকে ধন্যবাদ।’
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মালয়েশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় একমাত্র সন্তান হারানো বাবা হ্যান্স ডি বোর্স্ট হত্যাকারীদের এভাবেই ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন।
মালয়েশীয় এমএইচ১৭ এই ফ্লাইটটিকে যারা ভূপাতিত করেছে, তাদের বর্বরতার জন্য এক বিদ্রূপাত্মক খোলা চিঠি লিখেছেন; যা গতকাল সোমবার ডাচ মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে বলে এএফপির খবরে জানানো হয়।
১৭ বছরের একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে হ্যান্স তাঁর চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকার কাউকেই ছাড় দেননি। মেয়েকে হারানোর শোক প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হঠাত্ করেই চলে গেল সে। বিদেশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আকাশে হত্যা করা হলো তাকে।’
মেয়ের ভবিষ্যতের ভাবনাগুলোর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে হ্যান্স লেখেন, ‘ইলসেমেইক আগামী বছরই তার ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু জুলিয়া এবং ম্যারিনের সঙ্গে স্কুলের পাঠ শেষ করতে যাচ্ছিল। সে লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল। সে ডেলফট বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরকৌশল নিয়ে পড়তে চেয়েছিল। এ নিয়ে সে খুবই উল্লসিত ছিল।’
হত্যাকারীদের বিদ্রূপ করে হ্যান্স লিখেছেন, ‘আশা করি, এই তরুণ প্রাণ ধ্বংস করে এখন তোমরা নিশ্চয়ই গর্বিত। তোমরা শুধু একবার আয়নায় নিজেদের দেখো।’
হ্যান্স লেখেন, ‘আশা করি, তোমরা খুব শিগগির আমার এই চিঠি পড়বে। হয়তো বা ইংরেজি অনুবাদ করে। তোমাদের আবার ধন্যবাদ।’
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহর থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যাওয়ার সময় গত বৃহস্পতিবার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের দোনেত্স্ক অঞ্চলে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভূপাতিত হয় উড়োজাহাজটি। এর মোট ২৯৮ জন আরোহীর মধ্যে ১৯৩ জনই ছিলেন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। মালয়েশিয়ার নাগরিক ছিলেন ৪৩ জন। বাকিরা আরও ১০টি দেশের নাগরিক।