জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দাফন নিজ নিজ এলাকায় সম্পন্ন হয়েছে।
ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ তার বাড়িতে পাঠানো হয়। পরে রাতেই নামাজে জানাজা শেষে মুজাহিদের লাশ ফরিদপুর গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা গেটের পাশে পারিবারিক জমিতে মুজাহিদকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ৬টা ৩৭ মিনিটে তার লাশ খাবাসপুর পৌঁছায়। জানাজা সম্পন্ন হয় ৬টা ৫০ মিনিটে। তবে জানাজার সময় আশপাশে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত থাকলেও কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যসহ স্বল্প সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন। জানাজা পড়ান মুজাহিদের বড় ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর রাত ২টা ৫৩ মিনিটে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
লাশবাহী গাড়িবহর সাভার-মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে নদী পেরিয়ে রাজবাড়ী হয়ে পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামে পৌঁছায়।
যাওয়ার পথে প্রতিটি জেলা ও থানার পুলিশ ওই গাড়িবহরকে রিসিভ করে জেলা সীমানা পার করে দেয়।
ফরিদপুর পৌঁছানোর পর মুজাহিদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে নামাজে জানাজা শেষে পশ্চিম খাবাসপুরের আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন সম্পন্ন হয়।
চট্টগ্রামে সালাউদ্দিন কাদেরের দাফন
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীরর পৈত্রিক ভূমি রাউজানের বাড়ীতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মাঝে সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার তার পৈত্রিক বাড়িতে। সেখানেই বায়তুল বিলালের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ পৌঁছায় সেখানে। এরপর সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মাজহার বিপ্লবের কাছ থেকে সালাউদ্দিন কাদেরের মরদেহ বুঝে নেন তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
এর আগে শনিবার রাত ৩টার পর থেকে সেখানে পুলিশ পাহারায় কবর খোঁড়া শুরু হয়। সাত থেকে আটজন কবর খননের কাজ করেন।
তবে দাফনের আগে তার জানাজা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে গহিরা কলেজ মাঠে জানাজা আয়োজন করতে চায় স্থানীয়রা। তবে প্রশাসনের বাধায় তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে তার পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন করা হয়।