গ্রাম বাংলা ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনে মালয়েশিয় বিমান বিধ্বস্ত হবার ঘটনাস্থলে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে এক প্রস্তাব পাস হয়েছে।
এই প্রস্তাব পাসের কয়েক ঘণ্টা পর, রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিধ্বস্ত বিমান এমএইচ-সেভেন্টিনের দু’টি ব্ল্যাকবক্স মালয়েশিয় বিশেষজ্ঞদের হাতে তুলে দিয়েছে। এর সাথে ককপিটে থাকা ভয়েস রেকর্ডারও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের নেতা জানিয়েছেন, ব্ল্যাকবক্স দু’টি ভালো অবস্থায় রয়েছে।
আর ব্ল্যাকবক্সের মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত সময়, মাটি থেকে বিমানের উচ্চতা এবং বিমানটির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে, যা থেকে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে।
নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রস্তাবে রাশিয়া ভোট দেবে কিনা তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ পোষণ করলেও, শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিয়েছে রাশিয়া।
এর আগে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিধ্বস্ত বিমান থেকে উদ্ধারকৃত লাশ তোরেজ থেকে খারকিভে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন ঘটনাস্থলে যাবার ক্ষেত্রে অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তদন্তকারীদের যে বাধা দিয়েছে, রাশিয়া যদি সেটির নিন্দা জানাতো তাহলে এই প্রস্তাব পাশের কোনো প্রয়োজন হতো না।
তবে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিটালি চারকিন দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে নিরাপত্তা পরিষদকে আহবান জানিয়েছেন ।
চারকিন বলেন, একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য রাশিয়া তার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত । তিনি বলেন তদন্তের জন্য রাশিয়া বিশেষজ্ঞ দিয়ে সহায়তা করতে তৈরি ।
তবে এখানে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া ঠিক হবে না বলে চারকিন মন্তব্য করেন ।
গত বৃহস্পতিবার ২৯৫ জন আরোহী একটি মালয়েশিয়ান যাত্রীবাহী বোয়িং পূর্ব ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় অধিকাংশ নিহত যাত্রী ছিলেন ডাচ।
ইউক্রেন ও রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের উভয়পক্ষই বিমান বিধ্বস্ত হবার দায় অস্বীকার করেছে।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটিকে কারা ভূপাতিত করেছে, সেটি নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেন এখনও পরষ্পরকে দোষারোপ করছে ।
তবে, বৃহস্পতিবার বিমানটি বিধ্বস্ত হবার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশসমূহের সমালোচনার মুখে রয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিমান বিধ্বস্ত হবার পর থেকেই নিহত যাত্রীদের লাশ ও ব্ল্যাক বক্স হস্তান্তরের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দলকে প্রবেশ করতে দেবার ব্যপারে বিদ্রোহীদের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য রাশিয়াকে চাপ দিয়ে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলো।
সূত্র : বিবিসি